chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আর্থিক লোকসান ঠেকাতে চট্টগ্রাম জাহাজ মালিকদের নতুন শিপিং সেল

চট্টগ্রামের লাইটার জাহাজ মালিকরা নতুন শিপিং সেল চালু করতে যাছে। ডব্লিউটিসি’র সিরিয়ালে নানা অনিয়ম ও আর্থিক লোকসান হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।তাই নিজেদের মতো করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন নৌ বন্দরে পণ্য পরিবহন করার কথা জানিয়েছে ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় দেড় হাজার লাইটারেজ জাহাজ সারা দেশে বিভিন্ন নৌ বন্দরে পণ্য পরিবহন করে। এই নিয়মে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বা ডব্লিউটিসির সিরিয়াল মেনে এসব জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙরে খোলা পণ্যের বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়। তারপর অভ্যন্তরীণ নৌ পথে আমদানি পণ্য যায় বিভিন্ন গন্তব্যে।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের অধীনে এভাবে জাহাজ পরিচালিত হতো এতোদিন। তবে নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব ও সিরিয়ালসহ বিভিন্ন বিরোধে এই সমন্বয় থেকে বের হয়ে আলাদাভাবে পণ্য পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয় ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের জাহাজ মালিকদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তাদের সাথে নানা অনিয়ম হচ্ছে। এমনকি মতামত না নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একতরফাভাবে। করা হচ্ছে জরিমানাও। এ অবস্থায় আলাদাভাবে পণ্য পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।

যদিও বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ডব্লিউটিসির সিরিয়ালের বাইরে এভাবে পণ্য পরিবহন আইনসঙ্গত নয়। বকেয়া ৫০০ কোটি টাকা না দিতেই আলাদাভাবে পণ্য পরিবহন করতে চাইছেন চট্টগ্রামের জাহাজ মালিকরা। এমন অভিযোগ এই সংগঠনটির। তাই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরেরৱ মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে বিসিভোয়া।

যদিও জাহাজ মালিক ও পণ্যের এজেন্টদের দাবি, তারা নিয়মিতভাবে জরিমানাসহ সব অর্থ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু পণ্যের ক্ষতি হলে দায় নিচ্ছে না ডব্লিুটিসি বা বিসিভোয়া। আর আমদানিকারকরা ভাড়া পরিশোধ করলেই বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

চট্টগ্রামের এই সংগঠনের অধীনে চলমান রয়েছে ৪০০ জাহাজ রয়েছে।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর