chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ভোটের মাঠে মুখোমুখি নৌকা বনাম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটের লড়াইয়ে বিভিন্ন আসনে নৌকা মার্কার মূল প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের দলের নেতারা।

বিএনপি অংশ না নেওয়ায় ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন’ দেখাতে আওয়ামী লীগের এ কৌশল এখন দলের মনোনীত এবং জোটের প্রার্থীদের অনেকের জন্য ‘মাথাব্যাথার’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী এবং জোটের নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে তাদের সমস্যার বিষয়টি এখন সামনে আনছেন।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরাও আশংকা করছেন, ভোটের লড়াই থেকে সৃষ্ট বিরোধ সারাদেশে দলের ‘অভ্যন্তরে স্থায়ী’ বিরোধ ও বিভেদের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে অন্তত ১০টিতে নৌকার কাণ্ডারিদের মুখোমুখি একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন দলের কোনো না কোনো পদে রয়েছেন। দলেও রয়েছে প্রভাব। ফলে এখন দলের প্রার্থী না স্বতন্ত্র, কার পক্ষে অবস্থান নেবেন-এ নিয়ে দোটানায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

সীতাকুণ্ড,মিরসরাই,পটিয়া,সাতকানিয়া,চন্দনাইশ,সন্দ্বীপ,পতেঙ্গা এই আসন গুলোতে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে কর্মী-সমর্থকদের বড় একটি অংশ ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ছড়ানো- দুটোই আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে পটিয়া এবং সাতকানিয়ায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছয়টি আসন ছাড়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এ ছয়টি আসনেই রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা থাকলে ভোট ভাগ হবে। জোটপ্রার্থীদের বিজয়ী হয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়বে। একইভাবে সারাদেশের ৩২ আসন ছাড়া সবকটি আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। এসব আসনে দ্বন্দ্ব-সংঘাত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ হচ্ছে। পাশাপাশি নিজ দলের বিদ্রোহীর কাছে নৌকা হেরে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে।

নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান এবং সংঘাত বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘দলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রে ভোটার আনতে হবে। খালি মাঠে কেউ এমপি হতে পারবে না। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তাই ভোটার আনতে হবে কেন্দ্রে। এই কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে দলে অস্বস্তি নেই। তবে সংঘাত হতে দেওয়া যাবে না। সংঘাত বন্ধ এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো দেখতে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাদের দায়িত্ব, তারাই এসব বিষয় দেখবে।’

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর