chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি ইরানের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলছে শুক্রবার থেকে চারদিনের দখলদার ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে গাজায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করলে এর জন্য তেলআবিবকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি ইরানের।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এ কথা জানান।

প্রথম দফার চারদিনের যুদ্ধবিরতি মঙ্গলবার সকালের শেষ হবে। তবে গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির সময় বৃদ্ধির এবং আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপর দিকে চুক্তির আওতায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।

নাসের কানানি বলেন, “গাজায় সামরিক প্রক্রিয়ায় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তনে পরিষ্কার জবাব দেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দেখিয়েছে যে, তারা নিষ্ক্রিয় থাকবে না। শুধু তাই নয়, তারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাতে দ্বিধা করবে না। একই সঙ্গে তারা এই সংকটের অংশ হিসেবে মার্কিন সরকারকে দেখবে।

কানানি ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, “গাজায় যুদ্ধ এবং ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকলে, তা এই অঞ্চলে সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সম্ভবত যুদ্ধের পরিধিকে সম্প্রসারণের দিকে নিয়ে যেতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি এড়াতে বর্তমান যুদ্ধবিরতির একটি স্থিতিশীল রূপ চায় ইরান।

কানানি বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, কাতারি সরকার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমরা আশা করছি বর্তমান যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এক হাজার ২০০ জন নিহত; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। একই দিন ইসরায়েল থেকে ধরে নিয়ে গাজায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রাখে হামাস।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর