chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে গরম কাপড়ের ব্যবসায় ঠান্ডাভাব

চট্টগ্রামে ভোররাতে শীত পড়ছে। সন্ধ্যার পর গ্রামের মানুষ গরম কাপড় গায়ে দিচ্ছেন। এসময়ে গরম কাপড়ের ব্যবসা গরম চললেও এবার তার বিপরীত। মার্কেট, ফুটপাত যেখানেই বলেন ক্রেতা নেই বললেই চলে। একরকম গরম কাপড়ের ব্যবসা ঠান্ডা চলছে বলে জানালেন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। এতে তাঁরা আর্থিক ক্ষতিকর সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করছেন।

 

হরতাল-অবরোধের কারণে চট্টগ্রামে শীতের গরম পোশাকের ব্যবসা এবার খুব বেশি জমেনি। শপিং মল বা বিপণিবিতানে খুচরা পর্যায়েও তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। তবে ফুটপাতে শীতের পোশাকের দোকানে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারে ব্যবসা মন্দ চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার, হকার মার্কেট, লালদীঘির মহল মার্কেট, আগ্রাবাদের বেশ কয়েকটি মার্কেটে এবং ইপিজেড এলাকায় শীতের গরম কাপড়ের পাইকারি বাজার রয়েছে। ইপিজেড ও অলঙ্কার মোড় ও হালিশহর শিল্প এলাকায় পোশাকপল্লিতে দেড় শতাধিক শপিংমল আছে। ছোট ও মাঝারি আকারের পোশাক কারখানাসহ সেখানে আছে কয়েক শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শীত মৌসুমে এ এলাকার বেশির ভাগ দোকানে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওঠে শীতের গরম কাপড়।
কিন্তু এবার এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা এখনো
সেভাবে জমেনি।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশন রোড়স্থ প্যারামাউন্ট সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নওশেদ আলম চট্টলার খবরকে বলেন, হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে বেচাকেনা ভালোই ছিল। তবে শীতের কাপড়ের বিক্রি এখনো জমে ওঠেনি।

লালদীঘির পাড়ে মহল মার্কেটের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর এ সময়ে শীতের গরম কাপড়ের পাইকারি বিক্রি জমে যেত। কিন্তু এবার ব্যবসা করতে পারেনি এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাই শীতকেন্দ্রিক সবার ভালো ব্যবসার আশা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল লাভ কম হলেও বিক্রি যেন ভালো হয়; কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেচাকেনা
সেভাবে করতে পারিনি।

কোতোয়ালি থানার হকার্স মার্কেটে তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে অবরোধের কারণে বেচাকেনায় গতি নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত পাইকারিতে শীতের
ব্যবসাও এবার হয়নি।

চকবাজার, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, পতেঙ্গা, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও নিউমার্কেট কেন্দ্রিক দোকানে মৌসুমে শীতের কাপড় বেচাকেনা হয়। বেচাকেনা জমে নভেম্বর মাসের শুরু থেকে।

এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। তবে হঠাৎ শীত জেঁকে বসলে তখন ব্যবসা ভালো হতে পারে বলে আশা বিক্রেতাদের। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবরোধের কারণে অনেকেই ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষ চাপে আছে। তাই এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্য আগের মতো নেই। শীতের মৌসুমি ব্যবসার জন্য আমরা সারা বছর যে সময়টার অপেক্ষায় থাকি, সেই সময়ই হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি চলছে।

মহল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্যবার এ সময়ে দিনে ন্যূনতম লাখ টাকার শীতের গরম পোশাক বিক্রি হতো। কখনো তা দুই লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যেত। এখন দিনে ২০ হাজার টাকার বেচাকেনাও হচ্ছে না।

চখ/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর