chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সমুদ্রের শহরে ট্রেন ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর হুইসেলে

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে এতদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক বিমান পথে পর্যটকদের আসার সুযোগ থাকলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। সমুদ্রের শহর ছোঁয়া এই রেল স্টেশনের চট্টগ্রামকক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (শনিবার) বেলা ১টায় কক্সবাজারদোলহাজারী রেলপ্রকল্প অনুষ্ঠানস্থল থেকে এটির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হওয়া কক্সবাজার রেল যোগাযোগের উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পতাকা উড়িয়ে হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে রুটে ট্রেনের। এরপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে জুলাই দোহাজারীরামুঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারীচকরিয়া এবং চকরিয়াকক্সবাজার (লট লট) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশ সরকার।

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর