chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় ১ বৃদ্ধ নিহত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় আমির হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ কৃষককে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসীরা। সাথে বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছেলেকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টা নাগাদ উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছৈয়দুরখীল গ্রামের ফজল বাপের বাড়িতে এই হত্যাকান্ডটি ঘটে।

নিহত বৃদ্ধ আমির হোসেন ওই এলাকার আব্দুল নবীর সন্তান এবং পেশায় একজন কৃষক। ঐ সময় আহতরা হলেন- তার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) এবং ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫)। তাদেরও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা সরফভাটা ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘তোপায়েল গ্রুপ’ এই হামলাটি করেছে।

ইউপি সদস্য আবদুল মোনাফ জানান, গতকাল (সোমবার) রাত ১০টার দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী ছৈয়দুরখীল গ্রামের ফজল বাপের বাড়ির বৃদ্ধ কৃষক আমির হোসেনের বাড়িতে হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ও ছেলে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়। হামলা শেষে রাত ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চমেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, নিহত আমির হোসেনের অপর সন্তান সাইফুল আলম একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ছিল। সে উকিল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দুইটি পিস্তল, তিনটি বন্দুক, তিনটি এলজি, দুইটি পাইপগান ও ২৭ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছিল সাইফুল আলমকে। নিহত সে উকিল সন্ত্রাসী তোফায়েল গ্রুপের প্রধান তোফায়েলের বড় ভাই। বড় ভাইকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে তোফায়েল গ্রুপ সাইফুলের বাবা বৃদ্ধ আমির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মোবারক বলেন, ‘পাহাড়ে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সরফভাটার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়, একাধিক ডাকাতি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। প্রশাসনকে বার বার অবহিত করার পরও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এই সন্ত্রাসী গ্রুপকে আইনের আওতায় আনতে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর