chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ব্যাংকে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, গার্ডের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার পূবালী ব্যাংক লিমিটেড শিবেরহাট শাখার ১১ জন গ্রহকের ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের সিনিয়র গার্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ে মামলাটি করেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.আব্দুল মালেক।

আসামি হলেন পূবালী ব্যাংক লিমিটেড সন্দ্বীপ উপজেলার শিবেরহাট শাখার সিনিয়র মেসেঞ্জার কাম গার্ড (চাকুরীচ্যুত) আবুল কালাম আজাদ (৩১), তিনি সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বেলাল মাস্টারের বাড়ীর হাজী মো.ইব্রাহীমের ছেলে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর ইনচার্জ ও উপ-পরিচালক আতিকুল আলম। তিনি বলেন, ব্যাংকের সিনিয়র মেসেঞ্জার কাম গার্ড (চাকুরীচ্যুত) আবুল কালাম আজাদ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শাখার গ্রাহকের স্বাক্ষরিত চেক কৌশলে গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ব্যবহার করে এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড কৌশলে জেনে তা ব্যবহার করে ব্যাংকের টাকা জ্ঞাতসারে দুর্নীতির মাধ্যমে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও আত্মসাৎ করার প্রমাণ মেলায় দুদক মামলা দায়ের করা করেছে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড সন্দ্বীপ উপজেলার শিবেরহাট শাখার সিনিয়র মেসেঞ্জার কাম-গার্ড হিসেবে আবুল কালাম আজাদ কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের ৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শাখার ২ জন গ্রাহকের কৌশলে স্বাক্ষরিত চেক গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ব্যবহার করেন। এছাড়াও ৯ জন গ্রাহকের ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড কৌশলে জেনে তা ব্যবহার করে টাকা আত্মাসাৎ করে। আবুল কালাম আজাদ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শাখার গ্রাহকের স্বাক্ষরিত চেক কৌশলে গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ব্যবহার করে এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড কৌশলে জেনে তা ব্যবহার করে মোট শাখার ১১জন গ্রাহকের ১১টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা জ্ঞাতসারে দুর্নীতির মাধ্যমে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও আত্মসাত করে। যা প্রাথমিকভাবে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আবুল কালাম আজাজের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। তদন্তকালে ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর