chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জেনেভায় একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে সম্মেলন

নীরবতার মানে হলো প্রশ্রয়। তাই প্রতিটি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও সম্মান দেওয়ার মাধ্যমে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যায়।

মঙ্গলবার  (১০ অক্টোবর ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়বিচার এবং শান্তি: বাংলাদেশে গণহত্যা ১৯৭১’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।

ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম এবং গ্লোবাল সলিডারিটি ফর পিসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন, সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে চালানো গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সম্মেলনের বক্তারা।

বাসুগ চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সফিউর রহমান।

মোহাম্মদ সফিউর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার একটি জাতিকে নির্মূল করতে চেয়েছিল। তাই শুরু থেকেই তারা তৎকালীন পূর্বাংশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভূলুণ্ঠিত করতে প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। তারা বাঙালি সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়কে ধ্বংস করতে বাংলাদেশের ওপর হামলাসহ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে শোষণ ও বঞ্চনার কৌশল গ্রহণ করে।

সাবেক ডাচ সাংসদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, আমাদের মিশনের সদস্যরা সরেজমিন ঘুরে যে উপসংহারে পৌঁছেছেন তা হলো, অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে যেগুলো একাত্তরে বাঙালি জাতির ওপর চালানো গণহত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তাই এই নৃশংস গণহত্যার স্বীকৃতি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। সেজন্য সব মানবাধিকার কর্মী, গবেষক এবং বাঙালি প্রবাসীদের পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং ইইউ টুডের প্রকাশক গ্যারি কার্টরাইট, নেদারল্যান্ডসের লাইডেন ইউনিভার্সিটির গভর্ন্যান্স অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অনুষদের প্রভাষক এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত গবেষক আলিনা খান, বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক ড. হোসাইন আবদুল হাই।

আরও বক্তব্য রাখেন বালুচ ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন, ফ্রান্সের সভাপতি মুনির মেঙ্গল, ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির নির্বাচিত চেয়ারম্যান সরদার শওকত আলী কাশ্মীরি, বেলজিয়ামের গ্লোবাল সলিডারিটির সভাপতি মোর্শেদ মাহমুদ, ইউরোপীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবুল কালাম এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন সুইজারল্যান্ডের সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন।

সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক, ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং মানবাধিকার কর্মীসহ প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

 

 

তাসু/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর