chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অবৈধ আফগানদের এক মাসের মধ্যে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ

পাকিস্তানে বসবাসরত কয়েক লাখ অবৈধ আফগান নাগরিককে আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় চলে না গেলে জোর করে নির্বাসিত হবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, ইসলামাবাদে কাবুল দূতাবাসে কঠোর অবস্থানকে আফগানিস্তান হয়রানি বলে উল্লেখ করেছে।

সম্প্রতি পাকিন্তানে হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসীরা এসব হামলার পেছনে দায়ী বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। কিন্তু বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আফগানিস্তান। জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১৩ লাখ আফগান পাকিস্তানে নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, আরও ১৭ লাখ আফগান নাগরিক অবৈধভাবে পাকিস্তানে বসবাস করছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব অবৈধ নাগরিককে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুগতি বলেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসী এবং অবৈধ বিদেশিকে আগামী ১ নভেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা যদি না যায় তবে বিভিন্ন প্রদেশ বা ফেডারেল সরকারের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে তাদের নির্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন ধাপে আফগান নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। প্রথম পর্যায়ে, অবৈধ বাসিন্দাদের, দ্বিতীয় পর্যায়ে যাদের আফগান নাগরিকত্ব রয়েছে এবং তৃতীয় ধাপে যাদের আবাসিক কার্ডের প্রমাণ রয়েছে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে এক হাজারের বেশি আফগানকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরই পাকিস্তানে থাকার আইনি অধিকার রয়েছে। তারপরেও তারা আটক হয়েছেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, দেশটির পুলিশ আফগান শরণার্থীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বুগতি বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে পাকিস্তান শুধুমাত্র বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে আফগানদের প্রবেশের অনুমতি দেবে। বহু বছর ধরে, স্থল সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশকারী আফগানরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র একটি ভ্রমণ নথি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছে।

 

মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর