শেখ রাসেল ইকোপার্ক দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক স্থাপন করতে পেরেছি। প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল কার স্থাপন করা হয়েছে। শেখ রাসেল ইকোপার্ক দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক এবং দেশের কোথাও এতো দীর্ঘ ক্যাবল কার নেই।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্কের পুনরায় চালুকৃত ক্যাবল কার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরও ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ষ্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪.৪ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপিত হবে। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পুনঃউদ্যোমে যখন চালু হবে তখন দেশ এবং বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে, আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এ পার্কেই প্রথম নানা প্রজাতির পাখি আনা হয়।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতোবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।
পরে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বন নির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে জীবিকা উন্নয়ন তহবিলের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বক্তৃতা করেন। এসময় রাংগুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সাধারণ জনগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, সরকার মানুষের জন্য যথেষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছে। গরীব দুঃখী মানুষ যাতে কষ্টে না পরে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প থেকে শুরু করে আর্থিক অনুদান প্রদান করার ব্যবস্থা করেছে। এ সুফল প্রকল্প তেমনই একটি উদ্যোগ যা মানুষকে বন নির্ভর না হয়ে অর্থের মাধ্যমে নানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। আজ এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হচ্ছে।
মআ/চখ