chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লাগেজে পাওয়া খণ্ডিত মরদেহের মামলায় স্ত্রী,সন্তানের ৫ দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রাম  নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকায় হাসান আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে কেটে দশ টুকরো করার মামলায় তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, হাসান আলী হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী ও বড় ছেলে। তাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদালতে আবেদন করা হলে, তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়াও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে পাচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে হাসান আলী মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে মো. হাসানের শরীরের অবশিষ্ট অংশও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পিবিআই। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে লাগেজের ভেতর থেকে মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের ৮ টুকরা খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছিল। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।

পিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

চখ/জুঈম

এই বিভাগের আরও খবর