নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় নব্য জেএমবির ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম শুনানি শেষে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, মো.সাইফুল্লাহ, মো. এমরান, আবু সালেহ, মো. আলাউদ্দিন, মহিদুল আলম, মো. জহির উদ্দিন, মো. মঈনউদ্দিন, রহমত উল্লাহ, সাহেদ হোসেন, মো. সেলিম, আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল কাইয়ুম, কায়সার উদ্দিন, মো. মোরশেদুল আলম ও মো. শাহজাহান। আসামিদের মধ্যে মোরশেদুল ও শাহজাহান পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর ২ নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার টহল পরিদর্শক (টিআই) অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বোমা হামলার তিনমাস পরেই ২০২০ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র এমরান, পলিটেকনিকের ছাত্র আবু ছালেহ এবং দোকানকর্মী সাইফুল্লাহ- এ তিনজনকে গ্রেফতারের পরই কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবির সম্পৃক্ততার তথ্য পায়।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
এতে বলা হয়, আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মতাদর্শে পরিচালিত নব্য জেএমবির সদস্য। তারা সরকারি স্থাপনায় হামলা ও সরকারি কর্মচারীদের হত্যা করে নিজেদের কার্যক্রমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন।
আসামি নোমান সংগঠনটির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন, সেলিম সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রুবেল পাল জানান, পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হবে। বাকি ১৫ আসামিরে বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।
চখ/ক্লান্ত/আর এস