chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স

বৈধ, অবৈধ মিলিয়ে মালয়েশিয়াতে প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশী রয়েছে। নিয়মিত কলিং ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও অবৈধ পথে জীবন মানের পরিবর্তন আনতে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশী। বৈধ অথবা অবৈধ যে প্রক্রিয়া হোক মালয়েশিয়া দিনে দিনে বাংলাদেশী কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে রেমিটেন্স কমছে। রেমিট্যান্স পাঠানো ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার অবস্থান ৫ম থাকলেও বর্তমানে ৮ম গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রেমিট্যান্স প্রবাহের জন্য ভালো সংবাদ নয়। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে বাংলাদেশী কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা  থাকায় নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে কৃষি খামারে গ্রাম, নদী সাগর সব সেক্টরে বাংলাদেশী কর্মী রয়েছে।     

অনেক প্রত্যন্ত এলেকায় গেলেও বাংলাদেশী কর্মী দেখা যায়। এ সকল কর্মীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য কাজ বন্ধ করে অনেক টাকা খরচ করে ব্যাংকে যেতে হয়। তবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে কাজ বন্ধ করা লাগে না, কোনো খরচ নাই এবং দিনের টাকা দিনে পেয়ে যায়, ফলে প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছে দেশে। এ কারনে দিনে দিনে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন প্রবাসীরা । ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থ বছরের জুলাই মাসে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৬ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থ বছরে ১ হাজার ১২৫ দশমিক ৮৬ ডলার ছিলো, প্রতি মাসে হিসাব করলে বুঝতে পারা যায় রেমিট্যান্স এর অবস্থা।

এমনকি করোনা মহামারী মত পরিস্থিতিতেও রেমিট্যান্স ছিলো দেখার মত। মালয়েশিয়া প্রতিনিয়ত কর্মী বৃদ্ধি পেলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে না রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা মনে করেন রেমিট্যান্স কম হওয়ার পিছনে সব থেকে বড় সমস্যা রেমিট্যান্স হাউজ কম।

প্রবাসী ইমরুল মালয়েশিয়া আছেন ১০ বছর। তিনি দ্য ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, রেমিট্যান্স দিনে দিনে কম হওয়ার পিছনে অনেক কারন আছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে সাধারণ গ্রামের একজন মানুষ রেমিট্যান্স এর টাকা আনতে গেলে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়, অন্যথায় হুন্ডির টাকা বাড়িতে পৌঁছে দেয়, ফলে প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে পচ্ছন্দ করে।

১৯৯৬ সাল থেকে মালয়েশিয়া বসবাস করা একজন ব্যবসায়ী দ্য ডেইলি  মেসেঞ্জারকে বলেন (নাম উল্লেখ করতে চান না) সরকারের ২.৫ % প্রণোদনা দেওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছে, এর পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সেবার মান ভালো করা,  এয়ারপোর্টে অস্বাভাবিক ভাবে কর্মী ভিসাধারীদের হয়রানি বন্ধ ও সরকারের বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে দিনে দিনে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে।

 

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর