chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন: জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনার ছেলে জয় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্যপূরণে খুব ধীরস্থির ও চৌকশ। তার দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে মারাত্মক সমীহ করত। চব্বিশ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ ‘ছয় দফা’ বাস্তবায়নে সারা দেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব নিয়ে জয় বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন: ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।

জাতির পিতার শাসনকাল নিয়ে জয় লেখেন, ১৯৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারও গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরে জয় বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়। তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের ওপরে, ঠিক তখনই পুরানো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইলো ১৯৭১-এর পরাজয়ের। একাত্তরের পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিলো, পালানোর পথ করে দিলো, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর