chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোবাইক ফেরাতে পিটিশনের উদ্যোগ

২০১৮ সালের ১৮ জুন থেকে জোবাইক রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করেন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী রেজা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রথম জোবাইকের যাত্রা শুরু হয়।

প্রথম দিকে সেবাটি কক্সবাজারে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে জোবাইক জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়। এ ছাড়া ঢাকার মিরপুর, গুলশান, বনানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও জোবাইক রাইড শেয়ারিং সেবাটি চালু রয়েছে।

জোবাইক ব্যবহার প্রক্রিয়া

গুগল প্লে স্টোর থেকে জোবাইক অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এরপর সাইকেলের সঙ্গে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে সাইকেলের তালা খুলে গেলে তা ব্যবহার করা যায়। সাইকেলটি ব্যবহার করলে প্রতি মিনিটের জন্য এক টাকা দিতে হবে ব্যবহারকারীকে। আর সময় গণনা শুরু হবে সাইকেলে থাকা লকটি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই। গন্তব্যে পৌঁছে ব্যবহারকারী যখন সাইকেলটি পুনরায় লক করেন, তখন সময় গণনা বন্ধ হয়। জোবাইক স্ট্যান্ডের কাছে একটি রিচার্জ কেন্দ্র থাকে। যেখান থেকে ব্যবহারকারী জোবাইকের অ্যাপে রিচার্জ করতে পারেন। আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই ভাড়া পরিশোধ করা যায়।

করোনা মহামারির আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক চালু হলেও মহামারির পর সেবাটি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি জোবাইক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ঢাকা, জাহাঙ্গীর নগর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেকোনো ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবাইক চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেবাটি চালু করা হবে এসব ক্যাম্পাসে জোবাইকের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে।

চবি শিক্ষার্থীদের কাছে জোবাইকের প্রয়োজন ও জনপ্রিয়তা বুঝতে একটি পিটিশনের আয়োজন করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। গত রোববার (৩০ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এ পিটিশনের উদ্যোগ নেন চবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জিহাদ ইসলাম, পিয়া মনি, স্নিগ্ধা দেবনাথ ও ইমাম রায়হান।

মোহাম্মদ জিহাদ ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোবাইকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। ২০১৮ সালে যখন জোবাইক এসেছিল তখন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কাজ জোবাইকের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারতাম আমরা। খরচও খুব কম হতো। জোবাইক কর্তৃপক্ষের মতে তারা জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও আসবে। যদি জনপ্রিয়তা ও প্রয়োজনীয়তা দুটো বিষয় বিবেচনা করা হয়, তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে থাকবে। এ বিশ্বাস থেকেই আমরা পিটিশনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা একদিনেই ১ হাজার ৬৭০টি পিটিশন সংগ্রহ করতে পেরেছি। এছাড়া এখন অনলাইনে পিটিশন চলছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি পিটিশন জমা পড়েছে। তাই আশা করছি খুব দ্রুতই চবিতে আবার ফিরবে জোবাইক সার্ভিস।

জোবাইক চবি ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসাডর তাহলিল সাকিফ বাংলানিউজকে বলেন, চবিতে জোবাইকের জনপ্রিয়তা কেমন, তা এ পিটিশন কর্মসূচির মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় ক্যাম্পাসে জোবাইকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চবিতে জোবাইকের প্রয়োজনীয়তা এবং জনপ্রিয়তা আমরা জোবাইক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

 

এই বিভাগের আরও খবর