chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দুই বছরেই শক্তভিতের উপর ‘আজকের পত্রিকা’

 চট্টগ্রামে আজকের পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আব্দুল খালেক মিলনায়তনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের সূচনা করেন অতিথিরা।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভার। সভা সঞ্চালনা করেন দৈনিক আজকের পত্রিকা চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান সবুর শুভ।

দৈনিক আজকের পত্রিকাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে অতিথিরা বলেন, অল্প সময়ে আজকের পত্রিকা পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। বেশকিছু আলোচিত রিপোর্ট করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। মাত্র দুই বছরেই এই পত্রিকা শক্তভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সম্পাদক ড. গোলাম রহমান স্যারের নিখুঁত সম্পাদনায় আজকের পত্রিকার কনটেন্ট পড়ার মতো। পত্রিকার গেটআপ, দ্রুত অনলাইনে নিউজ দেওয়া সব মিলিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে এই পত্রিকা। মাত্র দু‘বছরে এই পত্রিকা যেভাবে আস্থা অর্জন করেছে, এতে মনে হয় যেন যুগ যুগ ধরে এই পত্রিকা মাঠে রয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা বলেন, শুরু থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজকরে পত্রিকা মানুষের কাছে গেছে। দু‘বছরে অনেক আলোচিত রিপোর্ট করেছে। এই পত্রিকার সবার কথা বলছে। কনটেন্টগুলো পড়ার মতো। এই পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিকতার শিক্ষক হওয়ায়, তিনি জানেন কী করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হয়। সেটির বাস্তবায়ন ঘটিয়ে আজকের পত্রিকা নজির গড়েছেন।

প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ মাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের পত্রিকা অন্যতম প্রধান সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশে অনেক পত্রিকা, সেগুলোর মধ্যে জনগণের মাঝে স্থান করে নিয়েছে আজকের পত্রিকা।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, মাত্র দু‘বছরের মধ্যে এই পত্রিকা বেশ সমাদৃত হয়েছে। এই পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিকতার শিক্ষক। সুতরাং তিনি জানেন পত্রিকা কীভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে হয়। এই শিক্ষক পত্রিকাকে সাজিয়েছেন। যা মানুষের মনে আস্থা অর্জন করেছে। এই পত্রিকা সবার কথা বলছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সহকর্মীরা ভালো কাজ করছে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক বলেন, আজাদী পত্রিকায় কোনো রিপোর্টার নিউজ করলে কম সময়ে রিপোর্টারের নাম সবাই জেনে যেত। কারণ তখন পত্রিকা ছিল কম। এখন প্রচুর মিডিয়া এসেছে। সাংবাদিকের গুণগত মানও অনেক বেড়েছে। তাই প্রচুর সাংবাদিকের ভিড়ে নিজের নামটি প্রতিষ্ঠা করা খুব কঠিন। তবে নৈতিকভাবে সবোর্চচ আসনে সাংবাদিকরা যেতে পারেনি। কারণ এখন সাংবাদিকরা কেউ সরকারের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। এটি ঠিক নয়। সাংবাদিকরা থাকবে নিরপেক্ষ। এখনই সাংবাদিক সমাজ এক হয়ে, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিখ্যা বলা উচিত।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়া কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিযোগিতায় প্রিন্ট মিডিয়া টিকে থাকা বেশ চ্যালেঞ্ছ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এরমধ্যেও গত কয়েক বছরের মধ্যে পত্রিকা বাজারে আনার দু‘সাহস যারা দেখিয়েছেন, তারমধ্যে দায়িত্বশীল আজকের পত্রিকা অন্যতম।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, এখন অনলাইন মিডিয়ার যুগ। প্রতিটি মুহূর্তেই পাঠকেরা সংবাদ অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন। এরপরও পরদিন সেটি পাঠককে নতুন আঙ্গিকে পড়ানোর চ্যালেঞ্জটা বড়। সেই চ্যালেঞ্জটা ভালো করে নিতে পেরেছে আজকের পত্রিকা। তরুণরা সাংবাদিকতায় ভালো করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের জেলা পিপি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, পেশাজীবী নেতা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মঞ্জুর কাদের মঞ্জু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ ও ক্রিড়া সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলাম ও অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, আদাদের সময় এর ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস, বণিক বার্তার ব্যুরো প্রধান রাশেদ এইচ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে নাইমুদ্দিন মাহফুজ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পক্ষে নগর ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল তানিম ও সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দীন মামুন।