chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পটিয়ার ইউএনওসহ ৮১জনের রিপোর্ট ১০দিনেও আসেনি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহভাজন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমাসহ ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দীর্ঘ এক সপ্তাহের বেশি সময় আটকে রয়েছে ঢাকায়।

৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট পেতে এক সপ্তাহের বেশী সময় পার হয়ে গেলেও রিপোর্ট না পাওয়ায় তারা আতঙ্কে রয়েছে। অনেকে রিপোর্টের অপেক্ষা করতে করতে অধর্য্য হয়ে স্বাভাবিকভাবে রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করতেও দেখা গেছে।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ৭ ও ৮ জুন সন্দেহভাজন ৮১ জনের মধ্যে ৭ জুন ২৬ জন ও ৮ জুন ৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

দুইদিনের ৮১ জনের নমুনা রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের বিআইিটিআইটি ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে জট পরে যাওয়ায় বিআইটিআইটি কর্তৃপক্ষ ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। এক সপ্তাহ পার হয়ে ৯/১০ দিনে হয়ে গেলেও উক্ত দুই দিনের রিপোর্টগুলো প্রকাশ করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাড়ি চালক দেলোয়ার হোসেনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১০ জন কার্যালয়ের ও পরিবারের সদস্যরা নমুন দেন ।

উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ এলাকার হুলাইন গ্রামে শহিদুল ইসলামের নামের এক প্রকৌশলী গত ২৩ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

গত ২৪ মে পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিলে শহিদুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া তাসনিম ও মা লায়লা ইসলামের করোনা পজেটিভ আসে। তারা হোম আইসোলেশনে থাকার পর গত ৮ জুন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিলে সেই রিপোর্ট এখনো আসেনি বলে জানান কলেজ ছাত্রী সাদিয়া তাসনিম।

ছাত্রী তাসনিম জানান, একটি রিপোর্টের জন্য যদি এতদিন অপেক্ষায় থাকতে হয় তাহলে মানুষ কিভাবে সংক্রমন থেকে বাচাঁবে।

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী অমর কান্তি দাশ বলেন, আমিসহ ও আমাদের ম্যাডামসহ উপজেলার ১০জন নমুনা দিয়ে দিয়ে আসলাম। প্রায় ৮ থেকে ৯দিন পার হয়ে গেলেও আমাদের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। আমি কয়েকদিন অফিসে যাওয়া বন্ধ রাখলেও রিপোর্টের অপেক্ষা করতে করতে অধয্য হয়ে শেষ পর্যন্ত আবার নিয়মিত অফিস করতে শুরু করেছি। আমি অফিস না করলে উপজেলা পুরো অফিস অচল হয়ে পড়ছে বলে তিনি জানান।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, গত ৭ ও ৮ জুনের নমুনা সংগ্রহ করা রিপোর্টগুলো চট্টগ্রামের বিআইটিআইটি ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে জট থাকায় নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে আজকালের রিপোর্ট চলে আসার সম্ভবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর