chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে শিশু ও মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে

টিকা দেওয়ার মাধ্যমে মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শুরু হচ্ছে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ। এবারে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দ্য বিগ ক্যাচ’ অর্থাৎ ‘জনগণ ও বৈশ্বিক সহযোগীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতিমারী পরবর্তী সময়ে তথা ২০২৩ সালের মধ্যেই টিকা না পাওয়া শিশুদের টিকা নিশ্চিতকরণ’।

সোমবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলা এডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে। টিকা সেখানে বড় অবদান রেখেছে। সরকার দেশের সকল শিশুকে শতভাগ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন শিশু যেন টিকা থেকে বাদ না পড়ে। শিশুদের টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসার দায়িত্ব অভিভাবকদের। এজন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

এবারের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাঠ পর্যায়ে বাদ পড়া, আংশিক বাদ পড়া শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্নকরণ, ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকাদান বিষয়ক বার্তা প্রচার (প্রতিদিন একটি করে বার্তা), জেলা, সিটি করপোরেশন থেকে টিকাদান রিপোর্ট ইপিআই সদর দপ্তরে পাঠানো সম্পন্নকরণ, তালিকা তৈরির এক মাসের মধ্যে জিরো ভোজ/ আংশিক/মিসড কমিউনিটি শিশুদের টিকাদান সম্পন্নকরণ, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শীর্ষক অ্যাডভোকেসি সভা।

সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস অতিমারী চলাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নিয়মিত কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হয়। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশে টিকার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে থাকা রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব পুনরায় লক্ষ্য করা যায়। এই ঝুঁকি হতে রক্ষাপেতেই বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের এই আয়োজন। বর্তমানে দেশে শিশুদের পূর্ণ টিকাদান কাভারেজ জাতীয় পর্যায়ে ৯৫ শতাংশ এবং জেলা পর্যায়েভ ৯০ শতাংশ। সন্তান ধারণক্ষম নারীদের টিডি-৫ টিকাদান কাভারেজ জাতীয় পর্যায়ে ৮০ শতাংশের বেশি। দেশে পোলিও এবং মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার মুক্ত অবস্থা বজায় রয়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশ হতে হাম, রুবেলা ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম দূর হবে বলে আশা করা যায়।

জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধারক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার, ডা. নওশাদ খান, , পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. সেহেলী নার্গিস, সীতাকুণ্ড উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ, জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট হামিদ আলী । সভায় উপজেলার সকল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ইপিআই ইনচার্জ ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

রিপোর্ট : এফও

এই বিভাগের আরও খবর