chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পটিয়ায় যুবদল নেতার হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু

পটিয়া প্রতিনিধি : পটিয়া উপজেলার মোহাম্মদ নগর এলাকার বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন। ৫ মাস আগে দেশে আসেন। দেশে আসার পর থেকেই নিজের ক্রয়কৃত একটি জমি এলাকায় যুবদল ক্যাডার আব্দুর রউফ ভুট্টুর সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।

গত ৬ জুন নিজ বাড়ির সামনে নিজের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রবাসী বেলালের উপর হামলা চালায় যুবদল ক্যাডার ভুট্টু ও তার সহযোগীরা। লোহার রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে বেলালকে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তার অবস্থার সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় আইসিউ তে রাখার পরামর্শ দেয় কিন্তু কোথাও আইসিইউ বেড খালি না পাওয়ায় ১২ জুন শুক্রবার সকালে বেলালের মৃত্যু হয়।

জানা যায় ইয়াবা, হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও জায়গা দখলের ১৭টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী আব্দর রউফ ভুট্টু । সে আমেরিকা প্রবাসীর বাউন্ডারি ওয়াল দেয়া জায়গার গেইটে তালা লাগিয়ে দিলে উভয় পক্ষের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে।

গত শনিবার (৬ জুন) আব্দুর রউফ ভুট্টুর ও তার সহযোগী মহিউদ্দিনসহ আরো বেশ কয়েক জন লোকজন নিয়ে লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সে চুক্তি ভিত্তিক মানুষের জায়গা দখল করে দিয়ে থাকেন। অত্যন্ত গরিব পরিবারের ছেলে ভুট্রু একসময় এলাকায় গাছ পরিবহনের ভ্যান গাড়ি ঠেলতেন ।

বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলের দূধর্ষ যুবদল ক্যাডার সরকার পরির্বতনের পর প্রাণে বাঁচতে রাতারাতি দল পাল্টিয়ে বনে যান আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। এলাকায় ইয়াবা পাচার, মাটি, বালিসহ নানা অপকর্মে সে হয়ে যান নেতা। সে মোহাম্মদ নগরের ফকির মোহাম্মদ বাড়ির নয়ন ওরফে সুমন হত্যার প্রধান আসামী।

এ ঘটনায় অভিযোগ করা হলে কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কায়ছার হামিদকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওসি । কিন্তু সন্ত্রাসী ভূট্টোর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি তদন্ত না করে গোপন রাখার অভিযোগ করছেন নিহতের স্বজনেরা।

এব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অতর্কিতভাবে তার প্রবাসী ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী ভুট্টো হামলা চালিয়েছে। হামলার পরদিন আমরা পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি তদন্ত করেও দেখেননি পুলিশ। কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সন্ত্রসী ভূট্টোর সাথে দহরম মহরম ভাব রয়েছে। হত্যাকান্ডের পেছনে কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির কায়ছার হামিদও জড়িত থাকার কথা জানান তিনি।

এব্যপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় লিখিত অভিযোগটি কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কেন তিনি তদন্ত করেননি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর