chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস, এ দুই সেক্টরে সরকার দীর্ঘ সময় ধরে যে ভর্তুকি দিয়ে আসছে, সেখান থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাজধানীতে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিতাস গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় এমন সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সরকারের মূল লক্ষ্য সাশ্রয়ী বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা। তার অংশ হিসেবে আগামী দুই বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এক চুলার ১৩৭৯ টাকা এবং দুই চুলার (ডাবল বার্নার) ১৫৯১ টাকার করার জন্য জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেয়।

জানা গেছে, গত ২ মে তিনি আবাসিকে মিটারবিহীন এক এবং দুই চুলার গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৩৯ থেকে ৪৭ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। গ্রাহকরা নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করেন এমন দাবি করে মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।

এক চুলার ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫৫ ঘনমিটার এবং দ্বিমুখী চুলার ক্ষেত্রে ৬০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন এমন বিবেচনায় কমিশন সর্বশেষ গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করেছে।

প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা হিসাবে বর্তমানে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের মাসিক বিল যথাক্রমে ৯৯০ ও ১০৮০ টাকা দিতে হয়।

বর্তমানে মিটারবিহীন গ্রাহকের সংখ্যা ২৫ লাখ ২৫ হাজার। তিতাসের নতুন দাম কার্যকর হলে প্রতি মাসে তাদের বাড়তি আয় হবে ১২৮ কোটি টাকা।

আবেদনে আরও বলা হয়, গ্রাহকরা রান্নার পাশাপাশি গ্যাস ব্যবহার করে পানি ফুটায়। অনেক বাসায় সাবলেট ভাড়াটিয়া থাকে। এতে কমিশন নির্ধারিত গ্যাসের চেয়ে বেশি পরিমাণে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা এক যুগ আগের একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়েছে।

তাদের দাবি, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে রাজধানীর গুলশান, বনানী এলাকায় প্রায় ১০০ আবাসিক গ্রাহকের বাসায় স্থাপিত মিটারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্যাসের মাসিক ব্যবহারের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮৭ দশমিক শূন্য ৫ ঘনমিটার এবং ১১২ দশমিক ৪২ ঘনমিটার।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর