chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফলমণ্ডিতে আমের আধিপত্য

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত ফলমণ্ডি।সারা বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ফলে সয়লাব থাকে আড়ত। বছর ঘুরে আড়াতে দেশীয় ফল আসতে শুরু করলেও আমের রাজত্ব সবচেয়ে বেশি।

ফলের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র ফলমণ্ডির একাধিক আম ব্যবসায়ী জানান, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের বাজারে প্রতিদিনই আসছে মৌসুমি ফল আম।প্রতিদিন রাত বারোটার পর শুরু হয় ট্রাক খালাসের কার্যক্রম। এরপর ভোর থেকে শুরু হয় বিকিকিনি। আড়তে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসছেন খুব কম। চাহিদা কম হওয়ায় বেচাকেনা তেমন নেই।

আড়তদাররা জানান, সব ধরনের মৌসুমী ফল পাওয়া যায় এই বাজারে। বিশেষ করে আমের মৌসুমে সব জাতের আম পাওয়া যায় এখানে। এছাড়ও লিচু, কলা, আনারসসহ নানা জাতের ফল সহজে মিলে এখানে। এখন ফলের মধু মাস জ্যৈষ্ঠ শুরু হয়েছে। মাসের শুরুতে আম সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদাও প্রচুর। বর্তমানে আমের মৌসুম চলমান হওয়ায় প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পর্যন্ত আম প্রবেশ করছে এই মার্কেটে।

এদিকে অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করছেন, অধিকাংশ আম অপরিপক্ব। কিছু আবার আধাপাকা। পাকা আমের পরিমাণ কম। ফলমণ্ডিতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক আম আসছে। প্রতি ট্রাকে গড়ে ১২ টন আম আনা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়তে এখন ল্যাংড়া, হিমসাগর ও গুটি জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পাইকারিতে মানভেদে বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। এদিকে মৌসুমি ফলে সংযোজন হয়েছে অনলাইনে বিক্রি। অনেক মৌসুমি আম ব্যবসায়ী বাগান থেকে আম পাড়ার দৃশ্য ফেসবুকে আপলোড দিয়ে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। অনলাইনে মৌসুমি ফলের অর্ডার নিয়ে বাসায় বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী নুরুল আনোয়ার মুন্না জানান, আমের মৌসুম চলছে। রাজশাহী, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম আসছে ফলমণ্ডিতে। চাহিদা থাকা আমের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ফজলি, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাতি, গোপালভোগ, ডাবল বি, হাড়িভাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতি।

মৌসুমী ফল ব্যব্যবসায়ী রেজাইল করিম চৌধুরী বলেন, ফলমণ্ডি থেকে ফল কিনে ভ্যান গাড়িতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি। এখন আমের সিজন হওয়ায় আম বিক্রি করছি। আমের সরবরাহ ভালো থাকায় কেনা দাম কম, তাই কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভে বিক্রি করতে পারছি।

আড়তদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জানান, দেশি ফল বাজারে প্রাধান্য পাচ্ছে, এটি বেশ ভালো দিক। কৃষকদেরও ভাবতে হবে একই ধরণের দেশি ফলের চাষ সবাই না করে। ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যাবে।

চখ/জুইম