নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার দাবিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ০৯ জুন ) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
নিসআ চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক মুশফিক উদ্দিন ওয়াসির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন ছাত্র, অভিভাবক, সচেতন নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যাত্রী কল্যান সমিতি চট্টগ্রাম জেলার উপদেষ্টা এড. সেলিম চৌধুরি, অভিভাবক মো. নাইম উদ্দীন, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক স্বপন ইসলাম, “জনগনের চট্টগ্রাম” এর সংগঠক মো. নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ্র বৈদ্য, ছাত্র অধিকার পরিষদের মিসবাহ্ উল হক,নিসআ এর সংগঠক কাজী শফিকুল ইসলাম রাব্বি প্রমুখ।
মানববন্ধনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন, মাইদুল ইসলাম – (শিক্ষক, চবি), জান্নাতুল ফেরদাউস পপি- (সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক),স. ম. ইউনুস – (রাজনীতিবিদ),শফিউদ্দিন কবির আবিদ-( রাজনীতিবিদ), রঞ্জন দে- (সম্পাদক, বাংলার দর্পণ), সায়েদুল হক নিশান- (সংগঠক, ফাইট ফর রাইট), নুরুল আবছার-( সভাপতি, চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ), সত্যজিৎ বিশ্বাস-(সাবেক ছাত্র নেতা) মেহরাব আজাদ- (হল আন্দোলনের সংগঠক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), রায়হান উদ্দিন- (সহ-সভাপতি, নগর ছাত্রফ্রন্ট),দীপা মজুমদার- (সহ-সভাপতি, নগর ছাত্রফ্রন্ট),ফজলে রাব্বী- (সাবেক ছাত্রনেতা, চবি) প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে সকলেই আর্থিক সংকটে দিনাতিপাত করছেন। এমতাবস্থায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্তদের ব্যাবহৃত গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আরোপ করে সরকার ও মালিকপক্ষ জনগণের উপর জুলুম করছে। এই বাড়তি ভাড়ার কোন অংশ পরিবহন শ্রমিকরা পাচ্ছে না উল্লেখ করে বক্তারা জানান, লকডাউনের নামে পরিবহন শ্রমিকদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বাড়তি পুরো টাকাটা লোপাট করছে মাফিয়া মালিকপক্ষ।
তারা আরো বলেন, পরিবহন খাতের ঘাটতি মেটানোর দায় সাধারণ জনগনের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। প্রয়োজনে সরকার পরিবহন খাতে ভর্তুকি দিয়ে ঘাটতি মোকাবিলা করতে পারে। তাছাড়াও বক্তারা বলেন স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হলেও কোথাও তা মানার বালাই নেই। ওদিকে অফিস-আদালত- কারখানা খোলা হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই গণপরিবহনে চড়তে হচ্ছে সকলের। এভাবে মহামারী পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করবে বলেই বক্তারা আশংকা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধন হতে সরকারের প্রতি দুই দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলোঃ গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে।