chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অসহ্য গরমে পুড়ছে জনজীবন

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড গরম আর বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর সঙ্গে বাড়ছে অসহনীয় লোডশেডিং। কোথায় যেনো স্বস্তি নেই, দিনে রাত সমান গরম। কোথাও আবার ভোরের দিকে দেখা মিলছে হালকা কুয়াশার। আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে একই গরম অনভূত হবে। 

প্রচন্ড গরমে নগরবাসীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তবে এ তাপদাহ দুরন্ত শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে আনন্দের খোরাকও। ডোবার শীতল জলে তারা মেতে উঠেছে জলকেলিতে। ছবিটি নগরীর আগ্রাবাদ ডেবা থেকে তোলা। আলোকচিত্রী – এম ফয়সাল এলাহী

আবহওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ দেশের আট জেলায় তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তাপ্রপবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে অন্যান্য সময়ের চেয়ে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রার মধ্যে ওঠা নামা করবে।

মরুভূমি প্রধান দেশগুলোতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে। এর মধ্যে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের অন্য আটটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

দেশজুড়ে মরুভূমির মতো তাপমাত্রা বয়ে যাওযার বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে জানালেন আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তারা। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি মাত্রায় গরম অনুভূত হয়েছে।

জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ভৌগিলিকভাবে বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় পড়েছে। বছরের এপ্রিল-মে মাসে এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করে। এখানে গীষ্মকালে গরম অনূভূত হলেও বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মরুভূমির মতো আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে। তবে মৌসুমী আবহাওয়া অনুযায়ী এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক। হয়তো তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত টানা তিন থেকে চার দিন দাবদাহ চলার পর কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কমে আসে। তবে এবার গেল চার দিন তীব্র গরমের পরও বৃষ্টি বা কালবৈশাখী ঋড় হয়নি। এছাড়া অন্যান্য বছর এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত থাকে। অথচ বর্তমানে চট্টগ্রামের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকলে সাধারণত বাতাস শুষ্ক হয়ে ওঠে।  সেই সঙ্গে তাপমাত্রা বেশি থাকলে শরীর থেকে তা পানি শুষে নেয়। ফলে শরীরে জ্বালাপোড়া করে ও ঠোঁট শুকিয়ে যায়।

এক প্রশ্নে আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ার গরম অনুভূত হচ্ছে।  যার কারণে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুট কমে আসবে। এ সময়ে বেশি বেশি পানি পান ও রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আরকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর