chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভাবমূর্তি সংকটে হয়নি টাকার জোগাড়, গণমাধ্যমকে দায়ী করলেন সালাউদ্দিন

আর্থিক সংকটে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ের ম্যাচে অংশ নিতে পারছে না বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। তিন মাস আগেই জানা গিয়েছিল সাফজয়ী ফুটবলারদের এ আসরে অংশ নিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দল পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে না পারার কারণ হিসেবে গণমাধ্যমের সুনাম ক্ষুণ্ণ করাকে দায়ী করলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

সোমবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কাজী সালাউদ্দিন বললেন, ‘এক কোটি টাকা জোগাড় করার ক্ষমতা আমাদের নাই। মিডিয়ায় আমাদের সুনাম নাই, বদনাম আছে। আমি দুই-চার জায়গায় কথা বলেছি। কেউ সাড়া দেয়নি।’

‘আপনারা চেষ্টা করেন যেন ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সাফ জিতে আসার পর মেয়েদের কি চুরি গেল সেই ইস্যু নিয়ে পড়লেন। আমি যে বছরে আড়াই থেকে তিন কোটি খরচ করি এটা তো বলেন না। এটা (বাফুফে সভাপতির চেয়ার) আমার বাবার চেয়ার না। আপনারা আমাকে সাহায্য করছেন না।’

ফিফা এবং এএফসির থেকে কী পরিমাণ অর্থ বাফুফে পায়, সেটিও পরিষ্কার জানালেন সালাউদ্দিন। একইসঙ্গে জানালেন, কোন খাতে কি পরিমাণ ব্যয় হবে সেটিও তারাই বলে দেয়।

‘এএফসি বছরে ৭ কোটি টাকা দেয়। এর ভেতর দুই কোটি টাকা দেয়ার ব্যাপারে শর্ত আছে। ফিফা বছরে দেয় ১৫ কোটি টাকা। এর ভেতর এডমিনে ৯ কোটি টাকা এবং একাডেমিতে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করার জন্য শর্ত আছে।’

জাতীয় নারী ফুটবল দলকে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলার জন্য বিদেশে না পাঠানোয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন পাওয়ার কথাও জানান বাফুফে সভাপতি। তার ভাষ্য, আমার কাছে জানতে চাওয়া হয় কত টাকা লাগবে এখনই বলো। আমি বলেছি, এখন টাকা দিলেও পাঠাতে পারব না।

আর্থিকভাবে ফুটবল ফেডারেশনকে নিয়মিত স্পন্সর করছে ঢাকা ব্যাংক। বছরে তারা দেয় এক কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই অর্থ মেয়ে ফুটবলারদের খাবারের পেছনেই খরচ হয় বলে জানালেন সালাউদ্দিন। বললেন, বসুন্ধরা গ্রুপ বছরে দিচ্ছে ২৫ লাখ টাকা।

চখ/জুইম