chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রমজানে কোরআন খতমের সহজ নিয়ম

মানবজাতির জন্য হেদায়েতের আলোকবর্তিকা হিসেবে মহিমান্বিত রমজান মাসে  পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-  شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ

উচ্চারণ: ‘শাহরু রামাদা-নাল্লাযীউনঝিলা ফীহিল কুরআ-নু হুদাল লিন্না-ছি ওয়া বাইয়িনা-তিম মিনাল হুদা-ওয়াল ফুরকান।’

অর্থ: ‘রমজান মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন, মানুষের জন্য হিদায়াতরূপে এবং পথনির্দেশনার প্রমাণ ও সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

এ মাস শুধু সিয়াম পালন ও তারাবির নামাজ আদায়ের মাস নয়। বরং রমজান মাসে আমরা ইচ্ছে করলে প্রচুর নেক আমল করতে পারি।

এসব নেক আমলের অন্যতম একটি আমল হলো পবিত্র কোরআনুল কারিম অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম করা ও কিংবা তিলাওয়াত করা। তাই যারা চলতি  রমজানে কোরআন খতম কিংবা কোরআন তিলাওয়াত করতে চান, তারা প্রতিদিন যেভাবে এবং যতটুকু করে পড়লে এ মাসে কোরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সে বিষয়ে সুন্দর একটি কৌশল ও পরামর্শ হলো-

প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআন তিলাওয়াত করুন। প্রত্যেক ৫ ওয়াক্ত নামাজের শেষে ৪ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করুন, ফলে দৈনিক আপনার তিলাওয়াত হবে ২০ পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পারা। এতে খুব বেশি সময় খরচ হবে না। এভাবে দিনে এক পারা করে তিলাওয়াত করলে পুরো রমজানে ৩০ পারা কোরআন শরিফ তিলাওয়াত খুব সহজেই হয়ে যাবে।

এছাড়া প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ২ খতম হবে। ১৬ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ৪ খতম এবং  ২০ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৫ খতম হবে।

কোরআন শরিফ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকি হয়। পড়তে না জানলে কোরআন শরিফ খুলে আল্লাহর পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সঙ্গে তাকিয়ে থাকলেও সওয়াব পাওয়া যায়। বুঝে পড়লে আরো বেশি নেকি হয়। এছাড়াও রমজান উপলক্ষে নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাআলা ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর