chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রোজায় বিদ্যুৎ নিয়ে ক্রাইসিস দেখছে না পিডিবি

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। সারা দিন রোজা শেষে সন্ধ্যায় ইফতার আর রাতে মসজিদে তারাবিতে অংশ নেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একই সঙ্গে মার্কেট, শপিং মাল ও অলি-গলিতে ধুম লাগে বেচা-কেনার।

তাই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এ মাসে বেড়ে যায় বিদ্যুতের ব্যবহার। বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিয়ে কাজ করতে হয়। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নগরের দুই নম্বর গেট, লালখান বাজার, ওয়াসা, খুলশী, বাংলাবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘণ্টাব্যাপি বিদ্যুতের দেখা পাননি নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে রোজার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয় বিদ্যুৎ বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণে মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। সে হিসেবে কোনো ক্রাইসিস দেখছি না। বাসা-বাড়ি, মসজিদ,মার্কেটসহ সব জায়গায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। আমি বলতে পারি কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই। তবে আমি অনুরোধ করবো সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য।

এক প্রশ্নে পিডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বছরের অন্য সময়ে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে আমাদের মনিটরিং ও মোবাইল টিম কাজ করে থাকে। তবে চাহিদার বিষয়টি মাথায় রাখে আরও টিম ও সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোথায় কোনো সমস্যা হলে রেসপন্স টিম দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য ছুটে যাবে।

এদিকে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ কম থাকায় ছেদ পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। একই সঙ্গে জ্বালানি সংকটের কারণে চট্টগ্রামের একটি মাত্র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চালু রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম বলেন, কাপ্তাই থেকে আমরা খুব বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়ে থাকি বিষয়টি এমন নয়। গেল বছরের বর্ষা মৌসুমে সেখান থেকে ৩৪ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত চাহিদা পেলে কোনো সমস্যা হবে না।

আরকে/মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর