chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নগরে চলাচল করছে ৪৩ শতাংশ রিকসা

রিকশায় সয়লাব চট্টগ্রাম। সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুর করে অলি-গলিতে সর্বত্র চোখে চোখে পড়বে রিকশা। বর্তমানে এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। রিকশার নৈরাজ্য, শৃঙ্খলার অভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ নিয়ে কারো কোনো ভূক্ষেপ নেই। বর্তমানে নগরে ৪৩ শতাংশ রিকশা চলাচল করছে বলে জানিয়েছে ‘পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম’নামের একটি সংগঠন।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘বন্দর নগরী চট্টগ্রাম যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো কোন পথে’ শীর্ষক

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার তুলনামূলক কারিগরি তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার মতো চট্টগ্রামে লোকসংখ্যা নেই। ঢাকার জনসংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন (জরিপ ২০১৮)। তবে বাস্তবে ২ কোটির উপরে বলে দাবি করা হয়েছে। ঢাকার ঘনত্ব বিশ্বে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। অপরদিকে বন্দর নগরী জনসংখ্যা ৩২ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন (জরিপ ২০২২) বলা হলেও বাস্তবে প্রায় ৭০ লাখ বলা হয়েছে।

ঢাকায় প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন যাত্রী ট্রিপ করে। আর চট্টগ্রামে নগরে দৈনিক ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী ট্রিপ করে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০৩০ সালে চট্টগ্রামে দৈনিক ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন যাত্রী ট্রিপ করবেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে দৈনিক ৩৫ হাজার ট্রাক ট্রিপ করে। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজারে পৌঁছাবে।  এর মধ্যে নগরের সিডিএ এভিনিউ সড়কে ২০১৭ সাল থেকে ২০৩০ সালে পিকআওয়ারে সর্বোচ্চ যাত্রী (প্রতি ঘণ্টায় ডাইরেকশনে) চলাচল করবে  ৯ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার যাত্রী। যা ২০১৮ সালে করা বিশ্বব্যাংকের চট্টগ্রাম স্ট্র্যাটেজিক আরবান ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে চলাচল করা পরিবহনের মধ্যে ৮ শতাংশ বাস-মিনিবাস, ১০ শতাংশ প্রাইভেট কার এবং ৩৯ শতাংশ বেবি-টেক্সি যানবাহন চলাচল করছে।

যানজট কমিয়ে আনতে ঢাকার ন্যায় চট্টগ্রামে মেট্টারেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর মেট্টারেল ডিজাইন, প্রাক্কলন, অনুমোদন, নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগবে। এই দশ বছরে চট্টগ্রামবাসীকে পোহাতে হবে অসহনীয় যানজটের কবল। এমন পেক্ষাপটে ব্যয়বহুল মেট্টোরেলে না গিয়ে ‘বিআরটি’সিস্টেম নির্মাণ অধিকতর সাশ্রয়ী  বলে মত দিয়েছেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামে’র নেতারা।  এক্ষেত্রে জনগণের করের টাকা ও ঋণের টাকার বিশাল সাশ্রয়ী হবে বলেও দাবি করেছেন তারা।

 

আরকে/ সাআ / চখ