chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সচেতনতা ও মানসম্মত ব্যবস্থাপনার অভাবে বাড়ছে বিস্ফোরণ

সারাদেশে বিভিন্ন বাসা বাড়ি, কলকারখানা, কন্টেনার ডিপোতে হরহামেশাই বিষ্ফোরণ রেড়ে চলেছে। এতে সম্পদের বিনাশ ঘটছে, জনজীবনের নিরাপত্তা কমছে, পরিবেশের ক্ষতি এবং বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি কমছে। সচেতনতা্ ও মানসম্মত ব্যবস্থাপনার অভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

বুধবার(১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় এস রহমান হলে ‘ক্যামিকেল ব্যব্স্থাপনা: নিরাপদ জনজীবন’ শিনোনামের এক মতবিনিময় সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি, চট্টগ্রাম। সভায় এসব তথ্য জানায় বিশেজ্ঞরা।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আবদ্ধ আসে ও রাসায়নিক বিস্ফোরণে মূল্যবান প্রশানি মাছে। বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চল ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিপদজনক রাসায়নিকের বিস্ফোরণের জনজীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।আবদ্ধ স্থানে জমাটরও বিজনক কেমিক্যালস গুদামার স্থানার পরিবহন, সেপটিক ট্যাংকের মাসে প্রাণধ্বনি, আপনার মার প্রতি অনিরাপদ ব্যবহার প্রতি প্রাকৃতিক গ্যাস ও রাসায়নিকের ব্যবহারে আমাকে তার পর হরয়ে নমীয়তা অনুভব করে এই কনফারেশের আধান করা, দুরছে।

দেশ নিয়ে যাচ্ছে তখন আঞ্চলিক এসব দুর্ঘটনা আমাদের জাতীয় অগ্রগতিকে বিদ্ধ করছে। সাধন সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চল মনে করে আনমালের ক্ষতি রোধ করে দুর্ঘটনা থেকে জানিনিষ্ঠাপত্তা বিধানে এদের দুর্ঘটন। রসায়নিক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চল মনে করে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্ঘটনা সচেতনতা এবং মানসম্মত ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের অভাবে ঘটছে।  বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি ও লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত ধারাবাহিক মনিটরিং এর মাধ্যমে উদ্ভূত দুর্ঘটনা রোধ করতে বিভিন্ন

শিল্প প্রতিষ্ঠান সংস্থা সরকারি ও স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করতে আলহ সরকারি বা স্থানীয় সরকারের মানচার কাজে নিয়োজিত জনবলের যেমন অভাব আছে, প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবলের ও আছে। রসায়নের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির চট্টগ্রাম অঞ্চল এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের করণীয় সম্বন্ধে নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রযামাকে অব্যাহত রাখার প্রভায় ব্যক্ত করছে। এ বিষয়ে এই সমিতি মনে করে আবদ্ধ বিপদজনক দাহ্য গ্যাস সংরক্ষণ ও সুরক্ষার পদ্ধতি আবাসস্থলে দাহ্য গ্যাসের বিষয়ে সর্তকতা, আবদ্ধ গ্যাসের রাসায়নিক ও বিপদজ্জনক চরিত্রে জ্ঞান, এসবের পরিচিতি, কোথাও বিপদজ্জনক দাহা গ্যাসের সনাক্তকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি, গন্ধ-বর্ণহীন গ্যাস যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতির উপস্থিতি সনাক্তকরণ বিষয়ে ভোক্তা ও ব্যবহারকারীদের এবং মিল ফ্যাক্টরি কিংবা রাসায়নিক কারখানায় সম্পৃক্ত শ্রমজীবী মানুষের দক্ষ ও সচেতন থাকা অত্যাবশ্যকা আবদ্ধ স্থানে বিপদজ্জনক দাহ্য গ্যাস সনাক্তকরণ, এদের ধরন নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণে করণীয় এবং এসবের বিপদ থেকে সুরক্ষার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এসব বিপদজনক গ্যাসের উৎস ধরন সনাক্ত করে ঝুঁকি মূল্যায়ন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ, রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ, স্বাভাবিকভাবে পরিদর্শন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য।

বিস্ফোরণ করণীয়

১. বিপদজনক কেমিক্যালস ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ হ্যান্ডলিং এ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম অনুসরণ করা। কঠিন, তরল,বায়বীয় সকল প্রকার পদার্থের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী দরকার।

২. এ বিষয়ে সরকারি বা স্থানীয় সরকারের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের অবগতি থাকা আবশ্যক। হ্যান্ডেলিং কার্যক্রমের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা দক্ষ ও শিক্ষিত ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

৩. হ্যান্ডেলিং এর জন্য পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, অগ্নি নির্বাপনের সুবিধাদি থাকতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কিংবা গুচ্ছ প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অ্যাম্বুলেন্সের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বিপদজনক রাসায়নিক গ্যাস, তরল যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, আন্তর্জাতিক বিধি মোতাবেক পরিবাহিত হতে হবে। এলএনজি, এলপিজি, বিভিন্ন ধরনের এসিড, গ্যাসীয় পদার্থ ট্রাক ও লরিতে পরিবাহিত হয় ঝুঁকি ও বিপদকে সাথে নিয়ে। পরিবহনের সময় এসব পণ্যের নাম, ইউ এন নম্বর, পন্যের বিপদ সংক্রান্ত বর্ণনা প্রতীক চিহ্ন প্রদর্শন করতে হবে। কঠোরভাবে তা মনিটর করতে হবে।

বিপদজনক পদার্থ পরিবহন করতে আত্মর্জাতিক, জাতীয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিধি অনুসরণ করতে হবে । জাতিসংঘ আইএমও আইএটিএ এবং জাতীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা যাদের অন্যতম। এজন্যে -বিপদজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ পরিবহন সংক্রান্ত আইনের অনুপুঙ্খ অনুসরণ অত্যাবশ্যক। সঠিক প্যাকেজিং এবং লেভেলিং অত্যাবশ্য। প্রশিক্ষিত পরিবহন চালক, যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি অবস্থার পরিকল্পনা, রুট পরিকল্পনা, যোগাযোগ,নিরাপত্তা ও বীমা কভারেজ, বিপদজনক পদার্থের পূর্ণাঙ্গ তথ্য, নিরাপদ পণ্য চিহ্নিতকরণ, সংরক্ষণকৃত সকল কর দেশের লাগানো, যথাযথ কষ্টেইনার ব্যবহার, মনোনীত এলাকায় সংরক্ষণ, জনবসতি থেকে দূরত্ব অবলম্বন, নিয়ন্ত্রণ এসে বিশ্বমিত মনিটর এবং পরিদর্শন, জরুরী পরিকল্পনা গ্রহণের প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং এসবের দায়িত্বশীল তারকি রাসায়নিককে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মো. জাফর আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা,মো. ইদ্রিস আলী, আবুল হাশেম, ড. শামসুদ্দিন আলম।

এই বিভাগের আরও খবর