আমদানি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে অলস বসে আছে ছয়শতাধিক জাহাজ
দেশে পণ্য আমদানি রফতানির বড় মাধ্যম নৌ পরিবহন খাত।চট্টগ্রামের বহির্নোঙর ও কর্ণফুলী এলাকায় অলস সময় পার করছে ছয়শতাধিক জাহাজ ও লাইটারেজ।আমদানি কমে যাওয়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকদের বেতন–ভাতা এবং খোরাকি দিতে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আমদানি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে অলস জাহাজের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আজ ভাড়ার জন্য অপেক্ষমান জাহাজের সংখ্যা ছিল ৭২৪টি। এরমধ্যে মাত্র ২৪ জাহাজ ভাড়া পেয়েছে। বাকি ৬৯৮টি জাহাজই অলস ভাসছে।
আগামী ৬ মার্চ লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের সংগঠন জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে। শ্রমিক নেতাদের সূত্র জানাগেছে ৬০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা গেজেট বাতিলের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আসবে এ সভায়।১০ মার্চ থেকে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন খাতে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাহাজ ব্যবসয়ী এক মালিক বলেন,ভাড়া পাচ্ছে না বহু জাহাজ। কোনো জাহাজ দেড় থেকে দুই মাসে অপেক্ষায় অলস পরে আছে । আমদানি কমা,জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদার তুলনায় অধিক জাহাজ তৈরি করায় পুরো সেক্টরে সংকট তৈরি হয়েছে।
এইদিকে কোর্টি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে জাহাজ তৈরি করলেও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না অনেক মালিক। ভাড়ার অভাবে পুরো সেক্টরে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান এই ব্যবসায়ি।
লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, শ্রমিকদের দৈনিক খোরাকি খরচগুলো যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।এই অবস্থা উত্তরণের পথ মালিক ও সরকারের খুঁজে বের করে সমাধানের জন্য এগিয়ে আশা জরুরী।