chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অবকাঠামোসহ চার খাতে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

নগরের জলাবদ্ধতা,পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোহিতা চাইলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র (চসিক) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নগরের টাইগারপাশে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাতে মেয়র এ সহযোগিতা আশা করেন।

এসময় চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আজুমায়া কেনজি কাওয়াই হিরোশি, জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োজি আন্দো আনন্দ, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।

সাক্ষাতে মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বিপর্যস্ত একটি দেশের অর্থনীতিকে আজকে রোলমডেলে পরিণত করতে জাপান অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে পাশে ছিল। বাংলাদেশের মানুষ কাজে আর গুণে জাপানের মন জয় করে নিয়েছে। সম্পর্কের এই দ্বারকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতেও জাপানের অকুণ্ঠ  সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।

মেয়র রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ুর পেক্ষাপটে চসিক জলবদ্ধতা,পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামোগত খাতকে সর্বাচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এসব খাতে বিনিয়োগ করে জাপান নান্দনিক চট্টগ্রাম তৈরিতে কাজ করে যেতে পারে। অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে।

মেয়রকে আশ্বস্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, জাইকার পাশাপাশি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ মডেলে বিনিয়োগের মাধ্যমে জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। চসিকের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপান সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মীরসরাই ইপিজেডে জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ রয়েছে। জাপানের সবচেয়ে বড় করপোরেশনের একটি নিপ্পন স্টিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। বন্দর ও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাস্টমসহ প্রশাসনিক জটিলতা কমানো গেলে চট্টগ্রাম জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি হতে পারে। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। বাংলাদেশে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় সংক্রামক মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংসে দেশের প্রথম ইনসিনারেটর প্লান্ট বসিয়েছে চসিক।  যা চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্ল্যান্টে দৈনিক পাঁচ টন মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে।

 

আরকে/ সাআ / চখ

এই বিভাগের আরও খবর