চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশুদের আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি
বন্দর নগরীতে গেলো ১২ দিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন আটজন, যাদের চারজনই শিশু।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা।
অন্যদিকে ডেঙ্গুর জন্য মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করাকেও দায়ী করছেন নগরবাসী।
হালিশহরের মামুন ফরাজী জানান, ২০ দিন আগে দেড় বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনদিন থেকে শিশুটি আবারও ভর্তি হাসপাতালে।
পাশের বেডেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ বছরের ইরাজ। তার বাবা রিয়াদ আব্বাস জানান, তারাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বজনদেরও অভিযোগ, মশা নিধনে কার্যকর কীটনাশক দিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। যেকারণে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৫ জন শিশুকে আইসিইউ ও এইচডিইউ সাপোর্ট দিতে হয়েছে। এ মাসে এখনি এই সংখ্যা ৪০ এর কাছাকাছি।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু আইসিইউয়ের রেজিস্টার ডা. মিশু তালুকদার জানান, এবার ডেঙ্গুতে দ্রুত রক্তচাপ কমে যাচ্ছে। খিচুনি, বমি ও ব্লিডিংসহ নানান ঝুঁকিপুর্ণ লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাওহীদ আক্তার জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে কীটতত্ত্ববিদদের নেতৃত্বে কার্যকরি ব্যবস্থাপনা ও কীটনাশক প্রয়োগের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রামে নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত আটজনের মধ্যে চারজন শিশু। অক্টোবরে সাতজনের মধ্যে চারজন ছিল শিশু।