chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাব পড়েছে বাজারে

বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে কোনো সবজির দামই কমেনি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব যেন এবার বাজারে পড়তে শুরু করেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। গতকাল বাজারে সব ধরনের সবজি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০-৪০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে আবার ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র হাতছানি। সব মিলিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা। যদিও এখনো এর প্রভাব পড়েনি বাজারে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশে টানা বৃষ্টি হয় তাহলে পণ্যের সংকট হবে। এতে আরেক দফা দাম বাড়তে পারে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বন্দর নগরীর পাহাড়তলী , রেওয়াজদ্দিন বাজার , কাজীর দৈউড়ী বাজার, এলাকার বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

নগরীর দুই নম্বর গেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দু’দিন আগে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গতকাল বাজারে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ১২০ টাকা কেজি দরের শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। ফুলকপি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

 

তবে দাম কমেছে টমেটোর। বাজারে এখন প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চলতি সপ্তাহে নতুন করে আবারো দাম বেড়েছে সবজির। গত দু’দিন ধরে শহরে সবজির গাড়ি কম এসেছে।

 

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ফসল ও সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আগামী কয়েক দিন সবজির দাম এমন থাকতে পারে। এদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়, লেয়ার ৩০০-৩১০ টাকায় এবং সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে ডিমের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গতকাল বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা। ফার্মের সাদা ডিমও বিক্রি হচ্ছে একই দরে। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায় যা একসপ্তাহ আগে ছিল ১৮০ টাকা।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বেড়েছে উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে। পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে লোকসানে পড়ে ছোট খামারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ডিমের সরবরাহ কমেছে।

 

এছাড়াও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম কমার আদেশ জারি করার মাস হতে চলেছে। কিন্তু এখনো বাজারে নতুন দামের সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। নগরীর বেশির ভাগ মুদি দোকানে এখনো ১৯০ টাকা দামের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

রেওয়াজদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন বলেন, সাধারণত দেশে টানা বৃষ্টি হলে নিত্যপণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। বৃষ্টি হলে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয় আবার মাল আসতে পারে না, এতে বেড়ে যায় দাম।

 

এই বিভাগের আরও খবর