chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

টটেনহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষস্থানে আর্সেনাল

ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে ম্যানসিটি থেকে নিয়ে আসার পর থেকেই যেন চেহারা বদলে গেছে আর্সেনালের। যে দুরন্ত গতিতে ছুটছে গানাররা, তাতে মৌসুম শেষে শিরোপাটা তাদের হাতে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দুরন্ত গতির ফুটবল দিয়ে শনিবার রাতে টটেনহ্যাম হটস্পারের মত দলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তারা। সে সঙ্গে শীর্ষস্থানে নিজেদের আরও নিরঙ্কুশ করে তুললো গানাররা।

শেষবার এমিরেটসে আর্সেনালের শো-কেশে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা এসেছিল ২০০৩-০৪ মৌসুমে। ম্যানেজার হিসেবে সেই সাফল্যের সাক্ষী ছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। দু’দশক পরে সেই সোনালি সাফল্য কি আবারও ফিরতে যাচ্ছে এমিরেটস স্টেডিয়ামে?

চলতি মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েঙ্গারের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব তুলে নেওয়া মাইকেল আর্তেতার দল ধারাবাহিক সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়ে চলেছে। শনিবার ঘরের মাঠে গ্যাব্রিয়েল হেসুসদের দাপটের কাছে মাথা নত করল আন্তোনিয়ো কন্তের টটেনহ্যাম হটস্পার।

এই জয়ের ফলে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল শীর্ষস্থান ধরে রাখলো। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে হ্যারি কেনদের টটেনহ্যাম।

গত মাসে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পাননি গ্যাব্রিয়েল হেসুস। সেই হতাশ থেকেই হয়তো নিজেকে আরও বেশি প্রমাণ করার তাগিদ অনুভব করেন। তার বার্তা ছিল এমন, নিজেকে আরও তীক্ষ্ণ করে কাতারে ঝলসে উঠবেন।

শনিবার সেটাই করে দেখালেন। নেতৃত্ব দিলেন আর্সেনালের দুর্দান্ত জয়ে। ৪৯ মিনিটে নিজে গোল করলেন। এ ছাড়া পুরো ম্যাচে প্রবল চাপে রেখে দিলেন টটেনহ্যাম রক্ষণকে। কন্তের দলের বিপদ আরও বেড়ে যায় ৬২ মিনিটে এমার্সন রয়্যাল লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে যাওয়ায়। এরপরই আর্সেনালের হয়ে তৃতীয় গোল করেন গ্রানিত জাকা। দলের পক্ষে প্রথম গোল পার্তের ম্যাচের ২০ মিনিটে। টটেনহ্যামের হয়ে ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন।

ম্যাচের পরে আর্তেতা বলেন, ‘এই মৌসুমের শুরু থেকে ফুটবলাররা এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, আর্সেনাল যে কোনও দলকে পরাস্ত করার ক্ষমতা রাখে। আট ম্যাচে সাত জয় সেই আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই দলের মেজাজ আরও পাল্টে গেছে জেসুস আসার পর থেকে। নিজে যেমন গোল করে যাচ্ছে, তেমনই খেলার মানকে বেঁধে দিয়েছে উচ্চতায়। সে জায়গা থেকে আমাদের পিছিয়ে আসার কোনও উপায় নেই। এই ছন্দটাই বাকি ইপিএলেও ধরে রাখতে হবে।’