chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শ্রীহিন মিরসরাই খাদ্য গুদাম, মেরামত নেই বহুদিন

প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি সকল খাদ্য কর্মসূচির খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ হয় মিরসরাইয়ের ১৫শ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম থেকে।

বর্তমানে সে ব্যস্ততম খাদ্যগুদামটি এখন পড়ে আছেন শ্রীহিন ভাবে। সর্বশেষ কখন মেরামত করা হয়েছে সেটিও কেউ বলতে পারেনা । ৫শ মেট্রিকটন করে মোট ১৫শ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি শেড রয়েছে মিরসরাই স্টেশন এলাকায়। ১৯৭২ সালে নির্মাণ করা হয় খাদ্য গুদামটি।

সাম্প্রতিক খাদ্য গুদামটি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত নাজুক আবস্থা। শ্রীহিন হয়েছে দেয়ালের রং, কোথাও কোথাও খুবলে উঠেছে দেয়ালের পেলেস্তারা। ফালট দেখা দিয়েছে বহু স্থানে।

লোড়িং আনলোডিং পয়েন্ট গুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছে বহু বছর ধরে। দেয়ালে পড়েছে পুরনো শেওলা। দেখে মনে হয় ৮ থেকে ১০ বছরে মেরামতের হাত পড়েনি খাদ্য গুদামের দেয়ালে। অবহেলা আর রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে যেন অসাহয়ত্ব বোধ করছে উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি।

এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সামছুন্নাহার স্বার্ণার সাথে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলের দিকে সীতাকুন্ড উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মিরসরাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পান।

তবে দায়িত্বে থাকা কালিন অধ্যাবদি গত ১৮ মাসে কোন মেরামতের ব্যাবস্থা করাহয়নি। খাদ্য গুদামের যে সকল সমস্যা রয়েছে তা মেরামতের জন্য যথাযথ উর্দ্ধতক কর্তৃপক্ষ বরাবলে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।

মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল শুনেছি। টিমের লোকজন আসার কথা ছিল কিন্তু তারা আসেনি। মিরসরাইয়ের খাদ্য গুদামের ফ্লোর ও দেয়াল সহ বেশ কিছু মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়েরে ওয়েভ সাইট খুজে দেখা যায়, ৭ অক্টোবর ২০১৮ সালে একনেক এর একটি সভায় সারা দেশের বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতার ৫১১টি গুদাম মেরামতের প্রকল্প অনুমোদন পায়। যার বাস্তবায়ন কাল ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই ৫১১টি গুদামের মধ্যে মিরসরাইয়ে দুটি খাদ্য গুদাম ও ছিল।

কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও গুদাম দুটি মেরামত করতে কেউ আসেনি। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় মেরামত না করেই বিল আত্মসাৎ করা হয়েছে ঢাকায় বসে?

এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রকল্পটির পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল কাদের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে কর্মব্যস্ততা দেখিয়ে তারাও কথা বলেননি।

স্থানীয় একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাদ্য গুদামটি মিরসরাই উপজেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তেমন কোন মেরামতের কাজ করতে দেখা যায় না। তবে ১৫ দিন কিংবা সপ্তাহে একবার ঝাড়– দেয়া হয়। এর বাইরো আর কোন কাজ করা হয় না।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর