chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শিশু হত্যার তদন্তে অগ্রগতি নেই, পিবিআই তদন্ত চায় পরিবার

মেহেদী হাসান কামরুল:হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৭ দিন পার হলেও হাটহাজারী থানার শিকারপুরে শিশু ওয়ালিদ খুনের ঘটনায় কোন কূলকিনারা করতে পারে নি পুলিশ। খুনের ঘটনায় পরিবারেরও তেমন কোন তোরজোড় নেই এমনটায় জানিয়েছে পুলিশ। ফলে যতই দিন গড়াচ্ছে খুনের ঘটনার রহস্য ততই বাড়ছে। তবে পুলিশের দাবী তদন্ত সঠিক গতিতে আগাচ্ছে।

শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় মদনুঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুর রহমান চট্টলার খবরকে বলেন, আমরা সব বিষয় মাথায় নিয়ে আগাচ্ছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এখনো আমরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডি কাজ করছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার আগে পরে কারা যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে সন্দেহভাজন কেউ আছে কিনা সেগুলো যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।

 

তবে এই ঘটনায় শিশু ওয়ালিদের পরিবার তেমনটা আগ্রহ নেই জানিয়ে পরিদর্শক মাহবুব আরও বলেন, ঘটনার পর শিশুটির চাচা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মাঝে কোন মর্মাহত ও কিংবা উদ্বিগ্নতার কোন ছাপ লক্ষ্য করি নি। মাত্র তিন বছর বয়সের একটা শিশুকে খুন করা হয়েছে। অথচ তারা স্বাভাবিক। বিষয়গুলো আমাদের ভাবাচ্ছে। পরিবার একজন আরেকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

 

তবে, এই ঘটনায় ভিন্নমত পরিবারের। মামলার বাদী নিহত ওয়ালিদের চাচা মো. আজাদ, চট্টলার খবরকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের এতোদিন পার হলেও পুলিশ কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই অপরাধী দ্রুত গ্রেফতার হোক। প্রয়োজনে এই মামলা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কাউকে সন্দেহ করেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কাউকে সন্দেহ হচ্ছে না। আমরা চার ভাই। সবাই একত্রে থাকি। পাঁচ বছর আগে ওয়ালিদের বাবা মায়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিলো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন চট্টলার খবরকে বলেন, বাদী এই মামলায় কাউকে সন্দেহভাজন আসামি করেননি। আসামিরা সবাই অজ্ঞাতনামা। এমন ঘটনায় দ্রুত সময়ে সমাপ্তিতে পৌঁছানো কঠিন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি রান্না ঘরের বেসিনের নীচ থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। চাকুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পেলে হয়তো নতুন কোন ক্লু বেরিয়ে আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন দুপুরে শিকারপুর ইউনিয়নের নেয়ামত আলী সড়কের হাঁছি মিয়ার নিজ বাড়িতে খুন হয় শিশু ওয়ালিদ। ঘটনার সময় ওয়ালিদের মা ও তার দাদী তাকে বাসায় রেখে বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে যান। পরে তারা ঘরে এসে খালিদকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে থাকতে দেখেন। তার গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত চিহ্ন ছিলো। ওয়ালিদের পিতা মো. জাবেদ দুবাই প্রবাসী।

চখ/

এই বিভাগের আরও খবর