chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জুয়ার ক্যাসিনোতে র‌্যাবের হানা, গ্রেফতার ৫৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : নগরীর হালিশহরে ক্যাসিনোর সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব-৭। রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে সেখানে জুয়ার আসর বসতো। চলতো লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা।

গতকাল শনিবার (১১ জুন) রাতে হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং এলাকার নবাব টাওয়ারের তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ৫৩ জনকে গ্রেফতার করে।

এসময় ১৫৫ সেট তাস, ৪৩০টি জুয়া খেলার চিপ (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফেরদৌস আলম (৫৭), মো. দিদারুল আলম (৫০), মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), মো. শাহাবুদ্দিন (৬২), মো. আবুল কালাম আজাদ (৬৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৫০), মো. শহিদউল্লাহ (৪৭), মো. জাকির হোসেন (৫৩), মো. তাওহিদুল মাওলা (৫১), গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৫২), মো. আব্দুস সালাম (৭২), মো. জাকির হোসেন (৬৪), মোসাদ্দেক (৫৮), সুধীর দাস (৭২), নোমান (৪৮), কাজী মো. জাকারিয়া (৫৬), মো. নজরুল ইসলাম (৫৮), মো. সাইফুল আজম (৪২), মো. ফজলুল করিম (৫৪), মাহফুজজুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল উদ্দিন (৬০), মো. বাবু (২৭), মো. শামসুল ইসলাম (৫৩), উৎপল চৌধুরী (৪৬), রবি শংকর (৪৩), মো. জসিম (৩৭), মো. সোহরাফ হোসেন (৪২), কাজী মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে নওশাদ (৫২), মহিউদুল্লা ওরফে কাজল (৫৭), মো. আরিফুল ইসলাম (৪২), মো. ওহিদুর রহমান (৬৩), মো. আমিরুল ইসলাম (৬২), গোলাম রসুল (৬২), আব্দুর রশিদ (৪৭), মো. নুরুল ইসলাম (৬৪), মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), মো. ফরিদ (৪২), আব্দুর শুক্কুর (৫৫), মো. আবুল হাসান (৩২), মো. শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), মো. সুমন চৌধুরী (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মো. ওমর ফারুক (৫২), মো. সোহাগ (১৯), মো. জসীম (২৩), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), মো. রফিকুল হাসান (৩৯), আশীষ গুহ (৫৫), মো. রেজাউল মাওলা (৪২), মো. মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫) ও মো. মঞ্জুর আলম (৫৮)।
র্যাব জানায়, রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, গোপর সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

জুয়াড়িরার বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করে। ম্যানেজারের কাছে নাগদ টাকা জমা দিয়ে, কখনো বা ঋণ করে সেই চিপ কিনতে হতো। এই চিপের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমএইচকে/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর