chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে কমেছে পেঁয়াজের দাম

খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ৩০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিন দিন কমতির দিকে পেঁয়াজের দাম। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর বিকল্প হিসেবে চীন, তুরস্ক, মিয়ানমার, মিশর, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজের চালান আসায় খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মিয়া মার্কেট পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে খাতুনগঞ্জের পাইকারী আড়তে চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ইরানী পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, পাকিস্তানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৬৫ টাকায়।

তিনি বলেন, কেনা দামের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি করায় অনেক আমদানিকারক পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন। সেই সঙ্গে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে তাঁরা তো কোনো দামই পাননি। নষ্ট ও পচা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এক মাস আগেও সমুদ্রপথে কত টন পেঁয়াজ আসছে এত দিন তার ওপর নির্ভরশীল ছিল পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দামে ওঠানামা। এখন উল্টো ঘটনা ঘটছে চট্টগ্রাম বন্দরে। জানা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ এনে বন্দরে জমা করে রেখেছেন আমদানিকারকরা। পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় নিচ্ছেন না তাঁরা। আসার পথে জাহাজে রয়েছে আরো অনেক পেঁয়াজ।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজ ও ফলভর্তি বিপুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারের জট সৃষ্টি হয়েছে। ইয়ার্ডে বিশেষায়িত এসব কনটেইনার রাখার স্থান না থাকায় জাহাজকে বাড়তি এক দিন জেটিতে বসে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় জমে থাকা পেঁয়াজ, ফলভর্তি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনার সরাতে গত সোমবার আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ জাহাজ থেকে নামছে সে পরিমাণ পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় নিচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এর ফলে এসব কনটেইনার ইয়ার্ড ভর্তি হয়ে গেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গতকাল পর্যন্ত ৩৩ হাজার টন পেঁয়াজ ছাড়পত্রের অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর। এর মধ্যে ১৯ হাজার টন বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছে; বন্দরে জমে আছে ১৪ হাজার টন। বহির্নোঙরে জাহাজে আছে ৩২২ একক কনটেইনার আর আসার পথে রয়েছে আরো প্রচুর পেঁয়াজ।

আমদানিকারকরা জানিয়েছে, পেঁয়াজে বাজার সয়লাব। আসার পথে রয়েছে আরো প্রচুর পেঁয়াজ। দাম যেভাবে কমে গেছে কেনা দামই তো উঠছে না। বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৫০ টাকার মতো, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার নিচে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেখা যাবে অনেক পেঁয়াজ বন্দর থেকেই ছাড় নেবেন না আমদানিকারক; নতুন করে আমদানিতে উৎসাহিত হবেন না কেউ।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর