chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আর্থিক অনটনে পড়া শিক্ষকদের দিকে মনোযোগ দিন

আজ শিক্ষক দিবস

নিলা চাকমা: আজ ৫ অক্টোবর।  শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর এই দিনে পালন করা হয় শিক্ষক দিবস। কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সংকট উত্তরণের ভাবনায় শিক্ষক নেতৃত্ব’।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বেসরকারি শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে সমাবেশ আহ্বান করেছেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক দফা দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ।

শিক্ষক সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৃথিবীর ১৫১টি দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হলেও বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয় না। এ দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিয়ে করোনার এ দুঃসময়ে গৃহবন্দী শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম অর্থসংকটে। তাই অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করে জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।

শিক্ষকরা মানুষ গড়ার  কারিগর। মূলত শিক্ষকের হাতেই গড়ে জাতির ভবিষ্যৎ শিশুরা। শিক্ষার্থীদের মানুষ করার জন্য শিক্ষকের চেষ্টার অন্ত থাকে না। এই মহামারীকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শিক্ষকরা অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ পৌঁছে দিচ্ছেন।

কিন্ত করোনার এই সংকটময় সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষক ভালো নেই। সৃষ্টি হয়েছে বিরাট বৈষম্য। সরকারী শিক্ষকেরা বেতনভাতা  ঠিকমতো। ক্ন্তি বেসরকারী শিক্ষকরা পড়েছেন বেকাযদায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় তারা চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে কেউ কেউ নিজ পেশা বাদ দিয়ে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন। কেউ ফল বিক্রি করছেন, কেউ মাস্ক বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন।

গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে, খরচ চালাতে না পেরে পুরো স্কুল বিক্রি করার জন্য দেওয়ালে দেওয়ালে দিয়েছেন বিজ্ঞপ্তি, যা মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে। শিক্ষকরা যাতে আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন সেজন্য এখনই সরকারকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

চখ

এই বিভাগের আরও খবর