chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মশিউরের আস্তানায় মিলল বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ, আটক ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় মশিউরের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় দেশী-বিদেশি ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।

আটককৃতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম মালু (৪১), মো. সিরাজুল ইসলাম (৩৪), মো. হাসান (৩৫), জামাল শেখ (৪৭) ও মিজানুর রহমান কদর (৪০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছিন্নমূলে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় শিবলুর সেমিপাকা ঘরে অভিযানে যায় র‍্যাব। তখন র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারিভাবে দৌড়ে পালানোর চেষ্টার করলে র‌্যাব ৫ জনকে আটক করে। পরবর্তীতে আসামীদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালানো শুরু করতেই মশিউরের ছেলে সন্ত্রাসী শিবলুর নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। র‌্যাবের কর্মকান্ডে বাধা দেয় এবং আসামীদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে পাহাড় থেকে গুলি করা শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে দূর্গম পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। নিজেদের জীবন রক্ষার্থে র‌্যাবও বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে ১২৯ রাউন্ড গুলি করে। সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ও ইট পাটকেল ছোড়ায় কয়েক জন র‌্যাব সদস্য কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

পরবর্তীতে র‌্যাব পুরো এলাকাটিকে ঘিরে রাখে এবং আরো ফোর্স নিয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশী শুরু করে। এসময় বিভিন্ন স্থান ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ১০ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ০১ টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ০১ টি ধারালো ছোরা এবং মোট ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের আস্তানা থেকে মিলিটারী গেজেট, মিলিটারী পোশাক, মিলিটারী বাইনোকোলার ও অবৈধ ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব আরো জানায়, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজী, সরকারী জমি প্লট আকারে লোক জনের কাছে বিক্রয় করে টাকা আদায় করে আসছিল। ওই এলাকায় গরীব বসতি লোক জনের কাছ থেকে বিদ্যুতের মিটার না দিয়ে মশিউরের নিজ মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করে বিদ্যুতের সরকারী মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করত। এছাড়াও ওই এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজী এবং নিজেদের অপরাধকর্ম চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে মশিউর ও তার ছেলে শিবলু একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে।

গ্রেপ্তার আসামি রফিকুল ইসলাম মালুর বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ থানায় ১টি মামলা, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি অস্ত্র মামলা, মো. হাসানের বিরুদ্ধে ৭টি, জামাল শেখের বিরুদ্ধে ১০টি, আসামী মিজানুর রহমান কদর এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় ১০ টিরও অধিক মামলা রয়েছে এবং সে এলাকায় অন্ধ জামাল ও বাবুর্চি জামাল নামে পরিচিত।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় তিনি।

কেএম/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর