chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তেঁতুল খেলে কমবে সর্দি-কাশি

চট্টলা ডেস্ক: শীতের শুরুতেই সর্দি-কাশির সমস্যা শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে। করোনা আতঙ্কের আবহে শুরু থেকেই এই ধরনের সমস্যার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রেও। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না পাকা তেঁতুল আমাদের সর্দি কাশি সাড়াতে সাহায্য করে।

তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হলেও বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ূর্বেদীয়, হোমিও ও এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।

তেঁতুলে রয়েছে এন্টিহিস্টামিনিক প্রপার্টিজ। যা আমাদের শরীরে অ্যালার্জি হতে বাঁধা দেয় এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে। আবার এতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়। এছাড়া তেঁতুলের বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আবার রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত এক ধরণের এনজাইম রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।

অনেকেই মনে করে তেঁতুল মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে এই ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুল মস্তিষ্কের জন্য উপকারি। তেঁতুলের এসকর্বিক এসিড খাবার থেকে আয়রন আহরণ, সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন। মস্তিষ্কে আয়রনের পর্যাপ্ত সরবরাহ চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে। তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস (কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই উপকরী। এছাড়া এর কচিপাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড। পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজ দেয়। তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তবে তা দেহের কোষে নয় রক্তে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

সিশা/এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর