chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিল চীন

মানব দেহে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীন।প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, বেইজিংভিত্তিক একটি ইউনিট সিনোভাক বায়োটেক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রোডাক্টস পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনগুলো ডেভেলপ করছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও ওই পরীক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।

আল-জাজিরা বলছে, চীনে প্রথম অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের পরীক্ষার জন্য ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক সাইন আপ করেছিল, ওই পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কিনা তা দেখা হয়েছিল। এখন দ্বিতীয় ধাপে নিয়ন্ত্রিত গ্রুপের ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হবে।

তবে করোনা থেকে আরোগ্যের আশা জাগলেও হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজির ক্লিনিকাল অধ্যাপক জন নিকোলস বলেছেন: ভ্যাকসিন প্রয়োগে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।

গবেষণার জন্য একটি পরীক্ষাগারে ভাইরাসটি পুনরুত্পাদনকারী তার প্রথম বাহিনী মূল বাহিনীর অন্যতম ছিল।

চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ল্যাবরেটরিতে যেসব বিজ্ঞানীদের টিম এই ভাইরাস পুনঃউৎপাদন করেছিল সেগুলোর একজন নিকোলস বলেন, ভ্যাকসিন দিয়ে সাধারণত ছোট ছোট প্রাণী এবং তারপর প্রাইমেট এবং শেষে মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু মনে হচ্ছে যে এই ভ্যাকসিন সরাসরি মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, এটি একটি অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, এই রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশ বয়স্ক, তাই তরুণ নয় বরং বয়স্কদের শরীরে অ্যান্টিবডি কী ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে সেটাই দেখতে হবে।

এর আগে মার্চ মাসে সেনাবাহিনী সমর্থিত একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস এবং বায়োটেক ফার্ম ক্যানসিনো বায়োর তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বেইজিং। ইউএস ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথের সঙ্গে মিলে একটি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেয় মার্কিন ড্রাগ ডেভেলপার মোডারনা।

মঙ্গলবার পর্যন্ত চীনে ৮২ হাজার ২৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে তিন হাজার ৩৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি দেশটিতে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিষেধক বানানোর কাজে নেমেছে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত এক লাখ সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখ মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর