chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মৌসুমি বায়ুর অভাবে গরম অনুভূত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সকাল থেকেই মাথার ওপর কড়া রোদ। মাঝে মধ্যে আকাশ কালো করে মেঘলা হয়ে আসে চারপাশটা। কিছুক্ষণ পর আবারও সেই রোদের কড়া উত্তাপ। কিন্তু দেখা নেই বৃষ্টির। হঠাৎ করেই বিকট বজ্রপাতে মারা পড়ছে মানুষ। কয়েকদিন ধরে চলছে আবহাওয়ার এমন খেয়ালিপনা আচরণ।

ফলে আশ্বিন মাসের শেষ সময়ে এসে বেশ তপ্ত দিন পার করছে নগরবাসী। কয়েক মিনিটের অনুভূত গরমে যেনো শরীর জ্বলসে যাওয়ার উপক্রম। গরমে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তাপপ্রবাহ বয়ে না গেলেও আবহাওয়ার এমন তারতম্যে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন আহাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হলে তাপমাত্রা কমে আসবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটি বলা হয়েছে।

মৌসুমি বায়ুর অভাবে গরম অনুভূত
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট এক রিকশাচালক রিকশাতে খানিক ঘুমিয়ে তাপদাহ থেকে বাঁচার চেষ্ঠা করছেন। ছবিটি সিআরবি এলাকা থেকে তোলা। আলোকচিত্রী – এম ফয়সাল এলাহী

বুধবার (১৩ অক্টোবর) নগরের কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, এদিন দুপুর একটা পর্যন্ত ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংঞ্চগ্যা চট্টলার খবরকে বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় না থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৪ থেকে ৮ কিলোমিটার। এই গতিবেগ বজায় থাকলে বেশ গরম অনুভূত হবে। চট্টগ্রাম ছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোতে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি থেকে ৩৪ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সিলেটে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছে। বর্ষা চলে গিয়ে এখন শীতকাল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এরপরও এই তাপমাত্রায় অতিরিক্ত ঘাম ধরছে। বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার এমন তারতম্য অস্বাভাবিক।

তবে রাতের শেষভাগে নগরের কয়েকটি স্থানে হালকা বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমি বায়ু দেশের অন্যত্র কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসগারে অবস্থান করছে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহ, সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে ফেনীতে ২৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরকে/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর