ইসরায়েলের বোমা হামলায় ধ্বংসস্তুপ গাজায় নিহত বেড়ে ১৪৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৪ এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জন শিশু রয়েছে।
গত সোমবার থেকে গাজায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় কমপক্ষে এক হাজারের অধিক মানুষ আহত হয়েছে। ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো এ পর্যন্ত ৯ ইসরায়েলির নিহত হওয়ার খবর দিলেও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি বা এ সংক্রান্ত ছবি প্রকাশ করছে না।
গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ আজও চলছে এবং গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলার পর এবার আর্টিলারি ফায়ার ও ট্যাংক দিয়ে গোলা ছোড়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ৪০ মিনিটে গাজার ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রায়ি টুইটার বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ হামলায় নিজেদেরই একটি ভবন বিস্ফোরন ঘটিয়েছে ইসরায়েল সেনারা। সেই ভবনে মারা যান তিন শিশুসহ এক মা। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনিও নিহত হয়েছেন।
পরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। শুক্রবার রাতে তারা কয়েক দফা রকেট নিক্ষেপ করে।
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদিন কাসসাম ব্রিগেড শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
তবে এসব রকেট হামলায় ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত খবর প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর মুহুর্মুহু হামলায় বহু বাড়িঘর ধ্বসে পড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজা থেকে জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছাড়ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে এসব ফিলিস্তিনি স্কুল, মসজিদ এবং অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নেই। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত। সেখানে মানবাধিকার কর্মীদের যাওয়ার অনুমতির ব্যাপারে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
চখ/আর এস