chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আকবরশাহ থানায় ১২ নেতাকর্মী কারাগারে, বিএনপির প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় থানা বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে মিথ্যা গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার পরবর্তী জেলহাজতে প্রেরণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নের্তৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিরোধী দলের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ণ-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। নির্দোষ নেতাকর্মীরা সরকারের নির্মমতার স্বীকার হচ্ছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিএনপি নেতাকমীর্দের আতঙ্কিত রেখে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল।

উচ্চ আদালতে জামিন থাকা সত্ত্বেও সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। বর্তমানে করোনা ঝুকির মধ্যেই নেতাকর্মীরা কারাগারে দিনাতিপাত করছে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২০ জানুয়ারি আকবরশাহ থানাধীন পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং অফিসারদের কর্মশালার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

কর্মশালা চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাটিসোটা নিয়ে হামলা করে স্কুলের ক্ষতিসাধন করে এবং শিক্ষকদেরকে লাঞ্চিত করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।

মামলায় আকবরশাহ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, যুগ্ম সম্পাদক মোজাহের আলম চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শমু, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব আবু তৌহিদ, যুবদলনেতা এটিএম সায়েম আজমী, মো. হারুন, মো. জাবেদসহ ১৮জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে তারা সকলেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালত শুনানি শেষে ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ১২ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আরএস/এমআই