বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়, সাইফের সেঞ্চুরি
খেলা ডেস্ক: সাইফ হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও শেষ দিকে শামীম হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে সহজেই হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইমার্জিং দল।
আইরিশদের দেয়া ২৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সাইফ। ১০৯ বলে তিন অঙ্ক। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
১০৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো সাইফ ১২৫ বল খেলে ১১ চার ৫ ছক্কায় খেলেন ১২০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। এরপর তিনি সাজঘরে ফিরলেও বাকি পথটা সামলে নেন শামীম পাটোয়ারি ও তৌহিদ হৃদয়। ২৭ বল বাকি থাকতে ২৬১ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ চলার সময় আইরিশদের অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াসের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর জানার পর ৩০ ওভার শেষে পরিত্যক্ত হয়ে যায় ম্যাচটি।
তৃতীয় ম্যাচেও বাগড়া দেয় কোভিড-বিপত্তি। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে যুক্ত একজন স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফের কোভিড পজিটিভ-নেগেটিভ ধাঁধায় পিছিয়ে যায় ম্যাচ শুরুর সময়। সকাল সাড়ে নয়টার জায়গায় খেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম উইকেট জুটি থেকে পঞ্চম উইকেট জুটি, সবগুলোতেই এসেছে ৩০ এর ওপরে রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ৬০ রান যোগ করেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং লর্কান টাকার। ফলে ২০০ রান তুলতে তাদের খরচ করতে হয় ৪ উইকেট।
কিন্তু পরের ৬০ রান তুলতেই তারা হারিয়েছে বাকি ৩ টি উইকেট। যার কৃতিত্ব পেতে পারেন ইমার্জিং দলের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটও তার। ১০ ওভারে ৫৩ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আর উলভসের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে টাকারের ব্যাট থেকে। মাত্র ৫৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ৯টি চার ও ২ টি ছয়ের মার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা ক্যাম্ফারকে ফেরার সুমন খান। ৪০ রান করা জেমস ম্যাককালাম রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান। রাকিবুল হাসানের করা ওভারে রান নিতে গিয়ে উঁড়ুর পেশিতে টান পড়ে তার।
সংক্ষিপ্ত স্কোরবোর্ড:
আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৬০/৭ (৫০ ওভার) (ম্যাককালাম ৪০, টাকার ৮২*, মুগ্ধ ৩/৫৩)
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬৪/৪ (৪৫.৩ ওভার) (সাইফ ১২০, হৃদয় ৪৩*, শামীম ৪৪*, ডেলানি ২/৫২)
আরএস/এমআই