chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রক্তাক্ত আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়, বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে দেশটির সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একঘণ্টা যাবত বন্দুকধারীদের চালানো হামলায় শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীর রক্তের বন্যা বয়ে গেছে।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।

এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস (আইএসআইএস) ও ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)। এ নিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটলো।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ১১টার দিকে হামলাকারীরা ক্যাম্পাসের কমপাউন্ডে প্রবেশ করে। তারা হামলা চালিয়েই ক্যাম্পাস থেকে বের হতে চায়।

তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে এ হামলা চলে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধে তিন হামলাকারীই নিহত হন।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে হামলায় ১৯ জন মারা গেছে। ২২ জন আহত হয়েছে। হামলায় তিনজন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে একজন শুরুতেই আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বাকি দুজন হামলা শুরু করে।

পরবর্তীতে নিরাপত্তাবাহিনী দুজনকে নিবৃত করে।’পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীরা ওই এলাকায় অবস্থান করছে। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানায়, বন্দুকধারীরা সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানীতে সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘিরে ফেলে হামলা চালায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্স কে বলেন, পালাতে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হামলাকারীরা গুলি ছুড়েছে। তারা যাকে দেখেছে তাকেই গুলি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি বইমেলা চলার সময়ে এই হামলা হয়। বইমেলায় যোগ দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত। আফগানিস্তানে নেটোর ঊর্ধতন প্রতিনিধি স্টেফানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

এর আগে গত মাসে কাবুলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছিল। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

আফগানিস্তানে একটি শান্তিচুক্তির চেষ্টায় কাতারে সরকারি এবং তালেবান আলোচকদের চলমান বৈঠক এবং আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার মধ্যে দেশটিতে সম্প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর