chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মিতু হত্যা:আদালতে মায়ের সাক্ষ্য

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায়  মঙ্গলবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের আদালতে  সাক্ষ্যে দেয় মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ বলেন,স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ওঠেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। একই হোটেলেই পাশের আরেকটি রুমে ওঠেন ভারতীয় এক নারী। সেই নারীর সঙ্গে পরপর দু’বার বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন মিতু। এজন্যই মানসিক অত্যাচার ও পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়।

গভীর রাতে আবারো বাবুলকে ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন মিতু- উল্লেখ করে শাহেদা মোশাররফ বলেন, রাত ৩টার দিকে মিতুর ঘুম ভেঙে যায়। তখনও বাবুল আক্তার মিতুর রুমে ছিলেন না। মিতু আবার ওই নারীর রুমে গেলে তাদের দু-জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। মিতু রুমে এসে কেঁদে কেঁদে আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি তাকে বলি- তুই চলে আয়। মিতু তখন বলে- আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে খারাপ মনে করবে। তাই আমি আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি।

সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ বলেন, বাবুল আক্তার বিদেশে (মিশনে) থাকার সময় তিন-চারবার বাংলাদেশে আসেন। তবে দেশে ফিরলেও তিনি বাসায় অর্থাৎ মিতু কিংবা ছেলেমেয়েদের কাছে যাননি। মিশন শেষ করে তিনি চীনে চলে যান। সেখানে বসেই বাবুল মিতুকে মারার পরিকল্পনা করেন।

শাহেদা মোশাররফ বলেন, মিতুকে খুন করার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মুসাকে অস্ত্র কিনে দেন বাবুল। একথা বলেছেন মুসার স্ত্রী। মুসার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেছিল- তুমি মিতুকে খুন করেছ? তখন মুসা তার স্ত্রীকে বলেন- আমি খুন না করলে বাবুল আক্তার আমাকে ক্রসফায়ার দেবে। বাবুল আক্তার আমাদের বলেছিল- মিতুর খুনের আসামিরা গ্রেফতার হয়েছে। আমি ক্রসফায়ার দিতে বলেছি।

শাহেদা আরো বলেন, আসামি ওয়াসিম, আনোয়ার গ্রেফতার হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই ভোলা ধরা পড়ে। গ্রেফতার হওয়ার পর ভোলা আদালতে জবানবন্দি দেন- বাবুল আক্তারের নির্দেশেই মিতুকে খুন করেন মুসা। মিতু মারা যাওয়ার দেড় মাস পর সে যে বাসায় ছিল, ওখানে মিলাদ পড়ানোর জন্য আমরা চট্টগ্রাম আসি। এর কিছুদিন পর আসামি কালু ও শাহজাহান গ্রেফতার হয়।

তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রাম আসার পরে অবস্থা দেখে মনে হয়েছে- পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিতুকে খুন করেছেন বাবুল আক্তার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি নিজেই মিতু হত্যার মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমার স্বামীকে বলেন- আপনারা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১২ মে মিতুর বাবা বাবুল আক্তারকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করলেন।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর