chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শহরে হাসছে নানা রঙের ফুল

কাঠফাটা রৌদ্রে অতিষ্ঠ প্রাণ ও প্রকৃতি।  উত্তপ্ত রৌদ্রের যেনো গিলে খাছে প্রাণের মলিনতা।এরি মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি  সড়কে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ,জিনিয়া ,মাধবিলতা সহ  নানা ধরনের  ফুল । 

সবুজ চিকন পাতা, ফাঁকে ফাঁকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। প্রকৃতি অপরূপ লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাজে সাজিয়ে তুলেছে পুরো সড়ক। দেখলেই যেন সবার চোখ জুড়িয়ে যায়। এ যেন দর্শনার্থীদের জন্য প্রকৃতির নতুন আকর্ষণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের সিআরবি সড়কের পৌণে এক কিলোমিটার জুড়ে একপাশে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়া ফুল। সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন সকল শ্রেণি-পেশার ভ্রমণ পিপাসুরা। লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তুলছেন সেলফি।

বাঙালির কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনো ক্রমে টিকে আছে শহরের পথে-প্রান্তরে।

কৃষ্ণচূড়ার আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাস্কার। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এই ফুল যেন এখন বাঙালির ঐতিহ্যেরই একটা অংশ হয়ে গিয়েছে সবার অজান্তেই। এদেশে এসে পরিচিত হয়েছে নতুন নামে।

অনেকেই মনে করেন যে, রাধা ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এই ফুলের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর সবচেয়ে বড় খ্যাতি হচ্ছে মোহনীয় রক্তিম আভা। সবুজের বুক চিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতোটাই মোহনীয় যে, পথিচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হোন।

প্রকৃতিকে রক্তিমতায় মাতিয়ে রাখা এই বৃক্ষের উচ্চতা তেমন একটা বেশি হয় না। সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠলেও তার শাখা প্রশাখা বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত থাকে।

পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখলেও অন্যান্য সময়গুলোতে এই বৃক্ষের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। অনেকটা আড়ালেই থেকে যায় বাকিটা সময়।

এপ্রিলে গ্রীষ্মের শুরুর সাথে সাথেই প্রকৃতির সবুজ পেছনে ফেলে বেরিয়ে আসতে থাকে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল।

মানুষের দৃষ্টিগোচর হতে থাকে তার সৌন্দর্য। তখন আর আলাদা করে তার খোঁজ নেওয়ার দরকার হয় না। প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে।

কৃষ্ণচূড়া ফুল ছাড়াও সোনালু ,জিনিয়া ,মাধবিলতা রাস্তার দুই ধারে শোভাচ্ছাড়াছে  ।

হৃদয় হাসান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, বেশ কয়েক সপ্তাহ করে লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। নিজের চোখে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসলাম। খুব সুন্দর একটা স্থান।

চট্টগ্রাম শহরের জামাল খান  এলাকা থেকে ছুটে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা সিদ্দিকা। তিনি জানালেন, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ,জিনিয়া ,মাধবিলতা নান  গাছের  ফুল দেখলাম। তবে সব চেয়ে বেশী সৌন্দর্য ছড়ানো ছাড়াও গ্রীষ্মের খরতাপে ছায়াদান করে কৃষ্ণচূড়া গাছটি।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর