chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শহরজুড়ে যেন বইছে স্বস্তির সুবাতাস

শহরজুড়ে যেন বইছে স্বস্তির সুবাতাস। ফাঁকা শহর সাথে পরিচ্ছন্ননগরী। নেই বিরক্তিকর যানজট আর চিরচেনা ব্যস্ততা। অসংখ্য মানুষ বন্দরনগরী শহর, তাই ঈদে যেন ছুটি মিলেছে শহরেরও। ফাঁকা নগরকে অনেকেই উপভোগ করছে।

 ঈদের ছুটিতে এখন অলস দিন পার করছে। নেই চিরাচরিত সেই তাড়া বা নাগরিক ব্যস্ততা। উদাস দুপুরে অফুরন্ত তার অবসর। যেন শান্ত বালক হয়ে উপভোগ করছে মৌনতা।

পরিবারের সাথে ঈদ করতে নগরী ছেড়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ । তাই চিরচেনা সেই অসহনীয় যানজটও আর নেই। নেই আগের মতো গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। বেশিরভাগ গাড়ি বেরিয়েছে ফাঁকা শহরে ঘুরে বেড়াতে। ৩ ঘণ্টার পথ ৩০ মিনিটে পাড়ি দিয়ে খুশি অনেকে।

নগরবাসী বলেন,একেখান থেকে পতেঙা আসতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লেগে যেতো। আর আজ ১ঘন্টা লাগে লাগেনি। গণপরিবহন এখন ভীষণ স্বস্তির এখন নগরীর আবহাওয়াটা মানুষের জন্য উপযোগী।

চৈত্রের শেষ ভাগে ঈদ এসে দূষণ থেকেও ছুটি দিল শহরকে। যান্ত্রিক কোলাহল, অপরিচ্ছন্ন নগরী, কালো ধোঁয়া, দূষিত বাতাস কিংবা উচ্চস্বরে হর্ন অনেকটাই কমেছে।

এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা ডিউটি করে আগের তুলনায় স্বস্তিতে পাচ্ছি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।

অনেকেই বলছেন, যানবাহন কম তাই কমেছে যানজট। তবে শৃঙ্খলা নেই শহরে। ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতে প্রায় কেউই মানছেনা সিগন্যাল বাতি। তবে কোথাও কোথাও সিগন্যাল বাতি নেই সেটিও সত্য।

দমকা হাওয়ার মতোই, ঈদের ছুটিতে হুট করে শহর জুড়ে বইছে স্বস্তির সুবাতাস। এই কর্মব্যস্ত শহর যেন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে আবার আপন গতিতে ফেরার অপেক্ষায়।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর