chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কেমন ছিল নবীজির ইফতার ও সেহরি?

রমজান মাসে যেসব বরকতময় সময় রয়েছে এর অন্যতম একটি হচ্ছে সেহরির সময়। এই সময়ে আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে রহমত ও বরকত নাজিল হয়, ফলে মানুষের অন্তরে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব হয়।

মহানবি সা. সেহরি ও ইফতারে আলাদা কোনো খাবার আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, সেহরি ও ইফতারেও সেগুলো খেতেন।
মহানবি সা. সেহরি ও ইফতারে আলাদা কোনো খাবার আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, সেহরি ও ইফতারেও সেগুলো খেতেন।

তাই সেহরির সময় শুধু খাওয়ার জন্য নয় বরং আল্লাহর দিকে বিশেষভাবে মনোনিবেশের জন্যও। আল কুরআনে মুমিনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, যা দ্বারা সেহরি সময়ের ফজিলত স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। বলা হয়েছে, ‘মুত্তাকি তারা, যারা রাতে কম ঘুমায় ও সেহরির সময় ক্ষমা প্রার্থনা করে।’ (সুরা যারিয়াত, আয়াত নং-১৮)

রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতার ও সেহরির সময়। কারণ, এ সময় আল্লাহতাআলা রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন এবং ইফতারের মাধ্যমেই একজন রোজাদার তার রোজা সম্পন্নের পর মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করেন।

মহানবি সা. সেহরি ও ইফতারে আলাদা কোনো খাবার আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, সেহরি ও ইফতারেও সেগুলো খেতেন।

রাসুল সা. প্রতিটি কাজই মুসলমানদের জীবেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যেসব কাজ করতেন তাই আল্লাহতায়ালা সুন্নত করে দিয়েছেন। আল্লাহর আদেশ মতে, যে রসুল সা.-এর আদর্শকে জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারবে সেই হবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম। নিয়মিত খাবারই মহানবি সা. সেহরি ও ইফতারে খেতেন। তবে খেজুর দিয়ে সেহরি ও ইফতার করা তিনি পছন্দ করতেন।

খেজুর দিয়ে সেহরি খাওয়াকে সেরা সেহরি বলেছেন মহানবি সা.। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, মহানবী সা. বলেন,نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنِ التَّمْرُ ‘খেজুর কতই না উত্তম সেহরি!’ (আবু দাউদ: ২৩৪৫)

হজরত আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘নবী সা. নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)

অন্য হাদিসে হজরত সালমান ইবনে আমির রা. বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।’ (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি)

খেজুর ছাড়াও তৎকালীন আরবে প্রচলিত অন্যান্য খাবারও খেতেন মহানবি সা.। আবদুল্লাহ ইবনে আবি আউফ রা. থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল সা.-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো।’ (মুসলিম: ১০৯৯)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে নবীজির সুন্নাহ মত জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এই বিভাগের আরও খবর